ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন
ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। ইউটিউব শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয় বরং এটি থেকে আয় করা সম্ভব। আপনারা অনেকেই আছেন যারা জানেন না ইউটিউব থেকে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করা যায়।
এই জনপ্রিয় মাধ্যম থেকে ব্লগাররা মাসে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছে। বেকারত্ব মোচনের অন্যতম মাধ্যম হলো ইউটিউব। ঘরে বসে এ কাজটি আপনিও করতে পারেন এবং বেকারত্ব ঘোচাতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেই ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার ১২ পদ্ধতি।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন
- ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি
- ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়
- ইউটিউবে কত সাবস্ক্রাইব কত টাকা
- ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায়
- ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা
- ইউটিউব শর্টস থেকে ইনকাম
- ইউটিউবে ভিডিও দেখে ইনকাম
- ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম
- ইউটিউব থেকে আয় কি হালাল
- পরিশেষে
ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি
ইউটিউব থেকে আয় করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। পৃথিবীর জুড়ে ভিডিও শেয়ার করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বহুল পরিচিত মাধ্যম হল ইউটিউব। ইউটিউব ব্যবহার এখন অতিমাত্রায় করা হচ্ছে। আনন্দ বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ইউটিউব। কিছু কিছু মানুষের জীবিকা মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে ইউটিউব।
ইউটিউব থেকে আমরা বিনোদন উপভোগ করি। আর এখন কমবেশি সকলেরই ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। যার মাধ্যমে তারা তাদের কনটেন্ট মানুষের কাছে শেয়ার করে খুব ভালো সাড়া পাচ্ছে। আর এই চ্যানেল খোলার ফলে আর এই চ্যানেল খোলার ফলে ছোট বড় সকল ইউটিউবাররা ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করছে।
শুধু যে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করা যায় বিষয়টা এরকম নয়। এজন্য আপনাকে অনেক ধরনের বিষয়ে বুঝে নিতে হবে এবং কাজ করতে হবে। এবং মানতে হবে কিছু রুলস ও ফরমালিটিস।এগুলো কাজ করার জন্য আপনার নানা যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে। তাহলে চলুন জেনে নিই ইউটিউব থেকে ১২ পদ্ধতিতে কিভাবে আয় করা সম্ভব।
- পণ্য বিক্রয় করে আয়ঃ ইউটিউবে নিজেদের পণ্য বিক্রি করে আয় করার সহজ মাধ্যম হলো যেসব ইউটিউবারদের অনেক বেশি ফ্যান ফলোয়ার্স থাকে তাদের জন্য এটি সহজ হয়ে থাকে। সে তার চ্যানেলে ব্যাগ, জুতা, থ্রি পিস এবং টি শার্টএবং চাবির রিং তৈরি করে নিজের চ্যানেলের ফ্যানদের মধ্যে বিক্রি করতে পারে। আর এভাবেই অনেক ইউটিউবাররা প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করছে। ইউটিউবারদের আয়ের অন্যতম মাধ্যম হলো এটি।
- স্পন্সরশিপের মাধ্যমে আয়ঃ যাদের চ্যানেলে আগে থেকেই অনেক ফ্যান ফলোয়ার রয়েছে তাদের জন্য আয় করার অন্যতম মাধ্যম হলো এটি। স্পনসর সিপ স্পনসরশিপ হল যে কোন কোম্পানি আপনাকে টাকা দিবে যাতে করে আপনি আপনার ভিডিওতে সে কোম্পানির কথা উল্লেখ করবেন। এর ফলে আপনারও ইনকাম হবে এবং সেই কোম্পানিরও লাভ হবে। এতে করে আপনার ভিডিও দেখার ফলে তাদের এড চোখে পড়বে। এর ফলে আপনি অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
- বিজ্ঞাপন থেকে আয়ঃ ইউটিউব থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করা একটি প্রাথমিক উপায়। আপনারা জানেন হয়তো বেশিরভাগ ইউটিউবাররা ভিডিও তে দেখানো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করে থাকে। আমরা যখন কোন ভিডিও দেখি প্রথমেই যে বিজ্ঞাপন দেখতে পায় সেখান থেকে মূলত আয় হয়ে থাকে।
- ইউটিউব প্রিমিয়ারঃ ইউটিউবে আপনার একবার ইনকাম শুরু হয়ে গেলে আপনি ইউটিউব প্রিমিয়ামে সাইন আপ করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনার ভিয়াররা চাইলে কিছু টাকার বদলে বিজ্ঞাপন ছাড়াই আপনার ভিডিও দেখতে পারবে এবংএর মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- রেফার করে ইউটিউব থেকে আয়ঃ আপনার যদি ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে আপনি সেখানে রেফার করে ইনকাম করতে পারবেন। ধরা যাক আপনার ইনকাম রিলেটেড একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে যেখানে আপনি বিভিন্ন সময় ইনকাম রিলেটেড অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট রিভিউ করে থাকেন আবার আপনি যদি একটি বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট খুঁজে পান তাহলে সেখান থেকে রেফারেল লিংক নিয়ে ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে আপনার দর্শকদের দিয়ে জয়েন করানোর মাধ্যমে আপনি ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন।
- বিজনেস মার্কেটিং করে আয়ঃ আপনার যদি নিজের কোন বিজনেস থাকে তাহলে সেখান থেকে আপনি ইউটিউবের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। যেমন ধরুন আপনার কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থাকে সেখানে যদি আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন বা লোগো ডিজাইনের কাজ করে থাকে সেজন্য আপনি আপনার বিজনেস মার্কেটিং করার জন্য ইউটিউব ব্যবহার করতে পারবেন। এ থেকে আপনি আয় করতে পারেন।
- কনটেন্ট লিখে আয়ঃ কনটেন্ট লিখে ইউটিউব থেকে আপনি আয় করতে পারেন। এজন্য আপনার দরকার হবে ব্লগার এবং অথবা ওয়ার্ডপ্রেস। এর জন্য আপনাকে ব্লগিং অ্যাকাউন্ট বা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এর ফলে অন্যরা উপকৃত হবে এবং এর পাশাপাশি তাদেরকে আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে আপনি ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন পরোক্ষভাবে।
- ফেসবুক মার্কেটিং করে ইউটিউব থেকে আয়ঃ আপনি যেকোনো ধরনের ভিডিও তৈরি করে থাকেন না কেন সেই ভিডিওগুলো ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন আবার ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে আপনি যে ভিডিওগুলো ইউটিউবে এর জন্য তৈরি করেন সেই একই ভিডিও গুলো ফেসবুক পেজে আপলোড করার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারেন আবার ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারেন।
- ইউটিউব শর্ট থেকে আয়ঃ ইউটিউব শর্ট থেকে আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনার যদি বেশি সময় ধরে ভিডিও তৈরি করার সময় না থাকে তাহলে আপনি ইউটিউব শট ভিডিও তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন।
- আয় ইউটিউব মার্কেটিং করে আয়ঃ আপনি যদি একজন ইউটিউবার হয়ে থাকেন তাহলে ইউটিউব সম্পর্কে আপনার অনেক ভালো ধারণা আছে তাহলে আপনি ইউটিউব মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। যারা নতুন ইউটিউব শিখছে তারা নতুন হওয়ার কারণে তাদের চ্যালেন গ্রো করতে পারছে না এ ক্ষেত্রে তাদের চ্যানেলগুলোকে কাস্টমাইজেশন ও মার্কেটিং করার মাধ্যমে গ্রো করে দিতে পারেন এবং বিনিময়ে আপনি অনেক ভাল অর্থ আয় করতে পারবেন।
- অনলাইন কোর্স বিক্রি করে আয়ঃ ইউটিউব কে কাজে লাগিয়ে অনলাইন কোর্স বিক্রি করে আয় করতে পারেন। আপনার যদি ইউটিউব চ্যানেল থাকে সেখানে যদি আপনি ফ্রিতে ওয়েব ডেভেলপিং শিখিয়ে থাকেন এবং আপনার অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা নিয়মিত আপনার ভিডিও দেখে শুনে এখান থেকে চাইলে আপনি কিছু কোর্স ইউটিউব প্রিমিয়ার ফিচারস এড করে দিতে পারে। আর কোর্সগুলো যেহেতু প্রিমিয়ার সেহেতু তাদেরকে পেমেন্ট করতে হবে যা ইউটিউব সংগ্রহ করে আপনার ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করবে। এভাবে আপনি ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারেন।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়ঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল কোন ব্রান্ডের যেকোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন আপনাআপনি চ্যালেনের ভিডিওতে এড করা। আর আপনি যে ব্র্যান্ডের সাথে ভালো যোগাযোগ রয়েছে তাদের লিংক আপনি আপনার ভিডিওতে দিতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়
ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় এটি আসলে অনেকেরই প্রশ্ন হয়ে থাকে। শুরুতে ইউটিউব থেকে আপনি এক টাকাও টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। যদি আপনি নিয়মিত সঠিকভাবে কাজ করেন তাহলে খুব দ্রুত ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন যত পরিশ্রম দিবেন। তত ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা আয় করা যায় তা নির্দিষ্ট ভাবে কখনোই বলা যায় না। আপনি যদি একজন পুরাতন ইউটিউবার হন সে ক্ষেত্রে মাসে আপনি দেড় লক্ষ টাকার বেশি আয় করতে পারবেন প্রতিমাসে। আবার আর আপনি কত টাকা উপার্জন করতে পারবেন তা আপনার চ্যানেলের ভিডিও এর ধারণ এবং ভিডিও ভিউজ মনিটাইজেসন পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
১০০০০ টাকা হতে পারে আবার 10 লাখ টাকা। ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন এবং মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউটিউবে কত সাবস্ক্রাইব কত টাকা
ইউটিউবে কত সাবস্ক্রাইব কত টাকা এটা অনেকেরই প্রশ্ন। তাহলে চলুন জেনে নিই ইউটিউবে কত সাবস্ক্রাইব টাকা। যদি ৫০০ সাবস্ক্রাইবার থাকে তাহলে আয়ের সুযোগ পাওয়া যাবে। নতুন নিয়মের কথা ঘোষণা করেছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। আগের নিয়ম ছিল ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকলে তবে ইউটিউবাররা এই মাধ্যম থেকে আই করতে পারবে। এখন সাবস্ক্রাইবারদের সংখ্যা ১০০০ থেকে কমিয়ে 500 করা হয়েছে। ১০০০ সাবস্ক্রাইবারসহ ইউটিউব চ্যানেলের গড় আয়ের পরিসীমা হল ৳ ৫০-৳১০০ মাসিক। এটা বিভিন্ন কারণের ওপর নির্ভর করে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।
ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায়
ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায় অনেক সহজ। ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে সেখান থেকে অর্জন করার টাকা আপনি আনতে পারেন আপনার যে কোন ব্যাংক একাউন্টে। আপনার চ্যালেন যদি মনিটাইজ করা থাকে তাহলে ভিডিওতে এড দেখার টাকা জমা হবে গুগল এডসেন্স একাউন্টে।
এডসেন্স এর সাথে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করা থাকলে প্রতি মাসে টাকা পরের মাসের ২০ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে সরাসরি ব্যাংক ব্যাংক থেকে তুলতে পারবেন। ইউটিউব থেকে টাকা তোলার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করতে হবে। আপনার যখন ইউটিউব চ্যানেলের মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করবেন।
ঠিক তখনই আপনাকে একটা গুগলএডসেন্স একাউন্ট তৈরি করতে হবে ।গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করলে আপনার ইউটিউবে যে টাকা ইনকাম হবে এটি মাস শেষ হলে একাউন্টে গিয়ে জমা হবে।ওই চিঠিতে থাকা গোপন কোড দিয়ে আপনার গুগল এডসেন্স ভেরি ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে আপনার যদি ঐ চিঠি দিয়ে গুগল এডসেন্স ভেরিফিকেশন করতে না পারেন।
তাহলে কিন্তু আপনি আপনার ইউটিউব থেকে টাকা উত্তোলন পারবেন না টাকা উত্তোলনের জন্য অবশ্যই আপনাকে গুগলএডসেন্সটি ভেরিফিকেশন করতে হবে আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্ট ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে আপনার অ্যাকাউন্টে যখন 100 ডলার বা তার বেশি হবে তখন আপনাকে গুগল এডসেন্স আপনার গুগল থেকে পাঠিয়ে দেবে।
ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা
ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা এ নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা হয়তো মনে করেন যে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করলেই টাকা ইনকাম হয়ে যায় তা আসলে ঠিক নয়। ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে অবশ্যই আপনার ভিডিওতে ভিউ হতে হবে তারপর আপনি ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন। কোন একটি ভিডিওর ভিউ ১০০০ হলে তবে তা থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।
আপনার ভিডিও ১০০০ জন দেখলে সেই ভিডিও থেকে আয় করতে পারবেন। আপনার ইউটিউবে কোন ভিডিওর ১০০০ ভিউ হলে সেই ভিডিও থেকে এক থেকে পঁচিশ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন আপনি। যা বাংলাদেশী টাকায় হিসাব করলে ১০৭ - ২ হাজার৬০০ টাকা আয় করতে পারা সম্ভব। আর যদি ভিডিওর এক লাখ ভিউ হয় তাহলে এর থেকে আরও বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
ধরা যাক, যদি ইউটিউব প্রতি এক হাজার ভিউতে কত টাকা দেবে সেটা নির্ভর করে ভিডিওটা কোথায় দেখানো হচ্ছে আর সেই ভিডিওটার CPM কত। আপনি ১০০০ ভিউতে যে টাকাটা পাবেন সেটা হচ্ছে ওই ভিডিওটার CPM। আপনার কোন ভিডিও USA তে এখন সব থেকে বেশি দেখছে। তাহলে যেমন ধরুন USA তে এড এর দাম বেশি হওয়ায় USA তে CPM ইন্ডিয়া থেকে অনেক বেশি।
ইউটিউব শর্টস থেকে ইনকাম
ইউটিউব শর্ট থেকে ইনকাম করা যায়।ইউটিউব শর্টশ হলো ইউটিউবের এমন একটি সেবা যার মাধ্যমে ছোট ভিডিও তৈরি করা যায়। এগুলো এক মিনিটে চেয়ে ছোট ভিডিও। ইউটিউবে এর শর্ট ভিডিও আপলোড করে যারা ভালো মানের ভিউ এনগেজমেন্ট পেতেন তাদের প্রতি মাসে ইউটিউব এর পক্ষ থেকে ১০০ থেকে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল।
আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওর ভিউ ১০০০ হলে আয় শুরু হয়। মার্কিন ডলার ও ভারতীয় টাকার হিসেবে ইউটিউব শর্টস প্রতি এক হাজার ভিউতে ৩০০০ ডলার অর্থাৎ২৪৯.৮৭ টাকা আয় করা সম্ভব। ইউটিউব শর্টস থেকে ইনকাম করাটা এখন তেমন কঠিন না। এখান থেকেও আপনি ভালো পরিমানে টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউটিউবে ভিডিও দেখে ইনকাম
ইউটিউবে ভিডিও দেখে ইনকাম করার অনেক ওয়েবসাইট বা অ্যাপ রয়েছে। অনলাইনে ভিডিও দেখে আপনি তাদের কাছ থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু সেখানে তাদের কথা শুনে এক থেকে দুই মাস এখানে কাজ করে যখন টাকা উঠাতে যাবেন তখন বুঝতে পারবেন যে আসলে ওয়েবসাইটটি বা অ্যাপটি প্রতারক ছিল।
এভাবে অনেক তরুণ তরুণীরা প্রতারণার শিকার হয়। যার ফলে তাদের অনেক সময় নষ্ট হয়। সেজন্য এ ধরনের প্রতারক থেকে আপনাদের দূরে থাকতে হবে। আপনি যেখান ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এবং ছোট ছোট কাজ যেমন ভিডিও দেখা লাইক অথবা শেয়ার করা ইনকাম করতে পারবেন।
তাহলে চলুন জেনে নেই আপনি কোন সাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন যেখানে আপনি প্রতারণায় পড়বেন না। সে ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেস যেখানে কাজ করে সরাসরি ক্লাইন্ট এর কাছ থেকে টাকা নিতে পারবেন। এটি ফাইবার ফ্রিল্যান্সার বা আপ ওয়ার্ক এর মত একটি সাইট কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে এখানে কাজ করতে আপনার কোন দক্ষতার প্রয়োজন হয় না।
এবং খুব ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। ছোট ছোট কাজ করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে ইউটিউব ভিডিও দেখার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন picoworkers এই মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট থেকে। প্রথমে আপনাকে সেই ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে ।অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে গেলে সেখান থেকে আপনি অনেক ছোট ছোট জব পেয়ে যাবেন।
ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম
ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার কথা অনেকেরই জানা নেই। কিন্তু ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার কথা সকলেরই জানা। তবে আপনারা জানলে অবাক হবেন যে কোন ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়। তাহলে চলুন জেনে নেই ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করা সম্পর্কে।
- AI দিয়ে ভিডিও করে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়
- ফ্রি স্টক ভিডিও দিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়
- কপিরাইট্রি ইউটিউব ভিডিও দিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়
- লাইভ কোন ভিডিও দেখিয়ে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করা যায়
ইউটিউব থেকে আয় কি হালাল
ইউটিউব থেকে আয় কি হালাল এতে অনেকেরই প্রশ্ন। ইউটিউব একটি ব্যক্তির নিজস্ব সম্পদ। দেখা যাচ্ছে যে ভিডিও আপলোড করার ফলে অর্থ উপার্জন হচ্ছে। একজন ব্যক্তি তার ইচ্ছামত বিজ্ঞাপন দিতে পারে তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে। যার মাধ্যমে সে টাকা ইনকাম করে। কিন্তু বিচার বিবেচনা ছাড়া যে কোন বিজ্ঞাপন যুক্ত করে অর্থ উপার্জন বৈধ নয়।
কিছু নিয়ম মানলে হালাল পন্থায় ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়। সেগুলো হলো যে বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে সেটি যেন বৈধ হয়। আবার বিজ্ঞাপনে চিত্র বা ছবি শরীয়ত সম্মত হতে হবে। বিজ্ঞাপনের ভাষা বা উপস্থাপনের মধ্যে কোন ধরনের প্রতারণাযর আশ্রয় দেওয়া যাবে না। আর যেগুলো থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে সেগুলো থেকে বিরত থাকাই উত্তম এবং স্বাবলম্বী হতে পারে
কোন অশালীন চিত্র বিজ্ঞাপনে দেওয়ার মাধ্যমে তা হারামে রূপান্তরিত হয়। এবং কথাবার্তায় প্রতারণা দেওয়া এটাও হারামের পর্যায় পড়ে যায়। সেজন্য সঠিক পন্থায় এবং শরীয়ত সম্মত কাজ করে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা হালাল।
পরিশেষে
আজকে আর্টিকেলে ইউটিউব থেকে আয় করার 12 টি পদ্ধতি এবং ইউটিউব থেকে মাসে কত আয় করা যায় ও ইউটিউবের যাবতীয় ইনকাম সম্পর্কিত তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ইউটিউব থেকে অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করে আয় করা সম্ভব। যার ফলে আমাদের দেশের বেকার ছেলেরা তাদের কর্ম করতে পারে এবং স্বাবলম্বী হতে পারে।
বাসায় বসে থেকে ইউটিউব থেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়। শুধু একটু কঠোর পরিশ্রম করতে হবে তাহলে ইনকাম হতে থাকবে। প্রিয় পাঠক আজকেরে আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হন তাহলে আপনাদের আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দেন। আর অনলাইন ইনকাম বিষয়ক তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url