লবঙ্গ খাওয়ার ৭ টি উপকারিতা এবং রূপচর্চায় লবঙ্গর উপকারিতা
লবঙ্গ খাওয়ার সাতটি উপকারিতা এবং রূপচর্চায় লবঙ্গ উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন। লবঙ্গ আমাদের সকলেরই চেনা একটি মসলা। এক এক কথিত ভাষায় লোম বলা হয়। আপনারা কি জানেন লং এর বহু ভেষজ গুণ রয়েছে।
লবঙ্গ খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। লবঙ্গ স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিতে জুড়ি মেলা ভার। লবঙ্গ খাবারের ফ্লেভার বাড়িয়ে থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেই লবঙ্গ উপকারিতা সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ লবঙ্গ খাওয়ার ৭ টি উপকারিতা
- লবঙ্গ খাওয়ার ৭ টি উপকারিতা
- রূপচর্চায় লবঙ্গর উপকারিতা
- রাতে লবঙ্গ খাওয়ার ৫ টি উপকারিতা
- খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
- লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
- লবঙ্গ খেলে কি ওজন কমে
- প্রতিদিন লবঙ্গ কয়টি খাওয়া উচিত
- চুলের যত্নে লবঙ্গ তেল
- লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক
- পরিশেষে
লবঙ্গ খাওয়ার ৭ টি উপকারিতা
লবঙ্গ খাওয়ার ৭টি উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। লবঙ্গ শরীরের যত্নের পাশাপাশি রান্নার টেস্ট বাড়াতে সাহায্য করে। লবঙ্গ অনেক ভেষজ গুণ রয়েছে। লবঙ্গ খাওয়ার ফলে শরীরের নানা ধরনের সমস্যা দূর হয়। আবার লবঙ্গ অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে বাড়তে পারে স্বাস্থ্যঝুকে। চলুন জানা যাক লবঙ্গ খাওয়ার ৭ টি উপকারিতা।
- শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি রোগেঃ যাদের শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি রয়েছে তাদের জন্য লবঙ্গ খুবই উপকারী একটি উপাদান। লবঙ্গ খাওয়ার ফলে হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগীরা রস খাওয়ার ফলে হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট থেকে আরাম পায়।
- পিপাসা মিটাতেঃ যাদের বারবার পিপাসা লাগার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য লবঙ্গ খুবই উপকারী। পিপাসা লাগার ফলে অনেক বিরম্বনা পোহাতে পড়ে। সেজন্য সকালে ও বিকালে লবঙ্গ খেলে পিপাসা জনিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ লবঙ্গ খাওয়ার ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে। লবঙ্গের রস ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে আর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সেজন্য নিয়মিত লবঙ্গ খাওয়া উচিত। নিয়মিত লবঙ্গ খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
- মুখের দুর্গন্ধ ও মাড়ির সমস্যা দূর করতেঃ যাদের মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা রয়েছে তারা প্রায় লজ্জার সমকালীন হয়। তাই মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা সমাধানের লবঙ্গ খুবই কার্যকর একটি উপাদান। লবঙ্গে মাথার অংশ ওরালপ্যাথজেনের বৃদ্ধি রোধ করে মুখকে কেসকল রোগ থেকে রক্ষা করে। মারে সমস্যা সমাধানে লবঙ্গ খুবই উপকারী। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন।
- হৃদরোগের ঝুকি কমাতেঃ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে লবঙ্গ বেশ কার্যকরী। লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য থাকার ফলে হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্যতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। লবঙ্গ রক্তচাপ কমাতে এবং রক্তনালীর কার্যকারিতা ভালো রাখতে সাহায্য করে এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
- প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে লবঙ্গ খবর উপকারী একটি উপাদান। লবঙ্গে থাকা ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়ম করে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে শরীরের অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম হয়।
- দাঁতের ব্যথা কমাতেঃ দাঁতের ব্যথা কমাতে লবঙ্গ খুবই উপকারী। লবঙ্গে থাকা ব্যথা নাশক উপাদান ইউজেনল যা প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। যা দাঁতের ব্যথা কমাতে খুব ভালো কাজ করে। লবঙ্গ দাঁতের তীব্র ব্যথা ক্ষত এবং প্রদাহ সারাতে খুবই উপকারী।
এছাড়া লবঙ্গ খাওয়ার ফলে বমির ভাব দূর হয়। লবঙ্গ মুখে নিয়ে চুষলে বমি কমে যায়। ঠান্ডা কাশি ও ঔষধ দিয়ে প্রতিরোধে লবঙ্গ মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে। এছাড়া লবঙ্গ মুখে নিয়ে চুষলে সর্দি-কাশি ও ঠান্ডা লাগার সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি এটি গলা ফুলে যাওয়া ও শ্বাসকষ্ট সারাতে খুবই কার্যকরী।
রূপচর্চায় লবঙ্গ উপকারিতা
রূপচর্চায় লবঙ্গ উপকারিতা বেশ কার্যকরী। লবঙ্গ তে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। লবন করে থাকা উপাদান স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যবহার হয়ে আসছে আদি যুগ ব্যবহার হয়ে থেকে আসতে। ঠান্ডা কাশি থেকে শুরু করে দাঁত ব্যথা উপশমেয়েও লবঙ্গ বেশ উপকারী।
লবঙ্গ এ থাকা ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম,সোডিয়াম ও ভিটামিন এ ত্বকে উজ্জ্বল ও সুন্দর করতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বকের ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। লবঙ্গের তেল ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেই লবঙ্গের তেল ব্যবহার করে রূপচর্চার কাজে কিভাবে ব্যবহার করা হয়।
- লবঙ্গ তেল ও নারিকেল তেল একসাথে মিশিয়ে যেখানে ব্রণ হয়েছে সেখানে লাগিয়ে রাখুন। তাহলে ধীরে ধীরে ব্রণ ভালো হয়ে যাবে এবং তার সাথে সাথে কালো দাগ দূর হবে।
- এছাড়া লবঙ্গের তেল বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করে ত্বকে উজ্জ্বল করে।
- ত্বকের বলিরেখা দূর করতে লবঙ্গ তেল বেশ উপকারী।
- যারা ত্বকে মেকআপ করেন তাদের জন্য লবঙ্গ তেল খুবই উপকারী। কেননা ত্বকে মেকআপ সহজে বসতে চায় না সেজন্য আপনি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কয়েকটা লবঙ্গের তেল মিশিয়ে নিতে পারেন।
রাতে লবঙ্গ খাওয়ার ৫ টি উপকারিতা
রাতে লবঙ্গ খাওয়ার ৫টি উপকারিতা জেনে নেই। বহু যুগ থেকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় লবঙ্গের ব্যবহার হয়ে আসছে। আমরা দৈনন্দিন জীবনে রান্নার কাজে লবঙ্গ ব্যবহার করে থাকি। লবঙ্গ মসলা হল লবঙ্গ গাছের শুকিয়ে যাওয়া ফুল যাকে আমরা লবঙ্গ বলে থাকি। রান্নার ৭ বাড়ানোর জন্য লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মাছ মাংস কিংবা তরকারি রান্নায় লবঙ্গ ব্যবহার করে থাকে।
- রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ লবঙ্গে চা খেতে পারেন। লবঙ্গের চা খেলে আপনার সারাদিনের ক্লান্তি পাশাপাশি দূর হওয়ার সাথে হালকা-পাতলা সর্দি কাশির সমস্যা দূর হবে।
- প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম পানিতে কয়েক টুকরা লবঙ্গ ছেড়ে দিয়ে কিছুক্ষণ ধরে ফোটাতে থাকো সারানোর পাশাপাশি শরীর থেকে খারাপ কোরেস্টেরল এর প্রভাব কমবে।
- এছাড়া হার্টের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। মধুর সাথে লবঙ্গের পাউডার মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যায় খেলে আপনার মাথা ব্যাথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি কমে যাবে।
- লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার ফলে লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার ফলে মুখে দুর্গন্ধ দূর হয়।
- মধুর সাথে লবঙ্গের পাউডার একত্রে মিশিয়ে খেলে এতে করে হজমের সমস্যা কমে যায়।
খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন। প্রতিদিন খালি পেটে লবঙ্গ খান তাহলে দারুন উপকার পাবেন। খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে আপনার সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং দাঁতের সমস্যা দূর। করবে খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে লিভার ভালো থাকে। লবঙ্গ লিভারের নতুন কোষ সৃষ্টি করতে সাহায্য করে তার সাথে সেটাকে ভালো রাখে।
দাঁতের সমস্যা, দাঁতের ব্যথা এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। হজম শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি পেটের ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে মাইগ্রেনের সমস্যা এবং মাথাব্যথা কমে। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কাজ করে। এছাড়া সর্দি-কাশি এবং সাইনাস ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।
বদহজম, পেট ফাঁপা ও মুখের অরুচি দূর করতে লবঙ্গ খুবই কার্যকরী উপাদান। মুখের অরুচি দূর করার জন্য সকালে খালি পেটে লবঙ্গের গুঁড়া খেতে পারেন। লবঙ্গে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরের ক্ষতিকর উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া লবঙ্গে থাকা প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ যা হারের ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে।
লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনেক। লবঙ্গ তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যাদের প্রতিনিয়ত ঠান্ডা কাশি ও সর্দি লেগে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে তারা লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন। তার ফলে আপনার উপকার মিলবে। এছাড়া যাদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে তারাও যদি লবঙ্গ চিবিয়ে খায় তাহলে উপকার নিশ্চিত।
লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার ফলে যাদের ঘন ঘন মাথা ব্যথা রয়েছে তাদের এই সমস্যাটা ছেড়ে যায়। আবার যাদের সায়ানোসাইটিসের সমস্যা রয়েছে তারা যদি লবঙ্গ চিবিয়ে খায় তাহলে সায়নোসাইটিসের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে। লবঙ্গ আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবে কাজ করে। এটি চিবিয়ে খাওয়ার ফলে হাঁপানের সমস্যা থেকে আরাম পাওয়া যায়।
লবঙ্গ খেলে কি ওজন কমে
লবঙ্গ খেলে কি ওজন কমে এটি অনেকের প্রশ্ন করে থাকে। লবঙ্গতে রয়েছে নানান স্বাস্থ্য উপকারিতা। লবঙ্গ থেকে তৈরি হওয়াতে আমাদের ত্বকের জন্যও খুবই উপকারী। তেল ব্যবহার করার ফলে দাঁত ও নারীর সমস্যা দূর হয়। লবঙ্গ তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। লবঙ্গর চা খাওয়ার ফলে আপনার ওজন কমবে।
লবঙ্গ, দারুচিনি আদা দিয়ে পানি ভালো করে ফুটিয়ে তা কাঁপে ঢেলে তাতে এক চা চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ লেবুর রস যোগ করে খেতে পারেন। এতে আপনার ওজন কমবে। এই চেয়ে থাকা উপাদান গুলো আপনার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই যারা ওজন কমানো নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারা লবঙ্গ দিয়ে চা খেতে পারেন।
প্রতিদিন লবঙ্গ কয়টি খাওয়া উচিত
প্রতিদিন লবঙ্গ কয়টি খাওয়া উচিত আপনারা অনেকে এ প্রশ্ন করে থাকেন। প্রতিদিন কয়টা লবঙ্গ খাওয়া উচিত এটা সঠিকভাবে বলা যায় না। তবে একথা ঠিক যে অতিরিক্ত পরিমাণে কোন কিছু খাওয়া ঠিক নয়। ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন কে এগুলো প্রচুর পরিমাণে খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কেননা অতিরিক্ত পরিমাণে লবঙ্গ খেলে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আপনি যদি চা খান তাহলে তাতে দুই থেকে তিনটি লবঙ্গ দিতে পারেন। আবার যাদের মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন সকালে এক থেকে দুইটি করে লবঙ্গ খেতে পারেন। আপনি যদি এমনিতে লবঙ্গ খেতে চান তাহলে দুটি করে খেতে পারেন।
তাছাড়া পেটের যে কোন রোগ সারাতে লবঙ্গ খুবই উপকারী একটি উপাদান। খালি পেটে দুটি করে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে পেট পরিষ্কার হয় এবং পেটের ব্যথা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। তাছাড়া আমাদের গলায় অনেকেরই খুশখুস করার সমস্যা রয়েছে সেজন্য আপনি দু থেকে একটি করে লবঙ্গ মুখের মধ্যে রেখে দেন তাহলে তা থেকে আরাম পেতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুইটি করে লবঙ্গ প্রতিদিন সকালে খাওয়ার ফলে শরীর সুস্থ থাকে। লবঙ্গের তেলও বেশ উপকারী তা ব্যবহারে বিভিন্ন রোগ নিরাময় হয়ে যায়। লবঙ্গে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রক্ত কোষ বাড়াতে সাহায্য করে এবং তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
চুলের যত্নে লবঙ্গ তেল
চুলের যত্নে লবঙ্গ লবঙ্গ তেলের উপকারিতা অনেক। চুলের সমস্যায় আমরা অনেকেই ভুগছেন। চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা চুল ফেটে যাওয়া এবং চুল মধ্যে থেকে ভেঙে যাচ্ছে এগুলো আমাদের নিত্যদিনের সমস্যা। লবঙ্গ তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পড়া কমাতে সাহায্য করে। আমরা চুল পড়া ঠেকাতে বিভিন্ন বাহ্যিক পণ্য সামগ্রী ব্যবহার করে থাকে।
অনেকে খুশকির সমস্যায় ভুগে থাকে। সমস্যায ভালো করতে লবঙ্গ বেশ উপকারী। আপনি লবঙ্গ তেল ব্যবহার করেও ভালো রাখতে পারেন অথবা লবঙ্গ ভেজানো পানি ব্যবহার করে চুল ভালো যত্নকরতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেই চুলের যত্নে লবঙ্গ তেলের উপকারিতা।
- লবঙ্গ তেল ব্যবহার করার ফলে চুলে খুশকির সমস্যা দূর হয়। আবার মাথায় চুলকানি বা রেসের সমস্যা দেখা দিলে লবঙ্গ তেল ব্যবহারে এটি সেরে যায়।
- চুলের গোড়া মজবুত করতে লবঙ্গ তেল খুবই উপকারী। কেননা এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং চুলের গোড়া শক্ত করে।
- যাদের চুল মাঝখান থেকে ভেঙে যায় সেই সমস্যাও দূর করে এ লবঙ্গ তেল।
- নতুন চুল গজাতে লবঙ্গ তেলের উপকারিতা অনেক। চুলের রুক্ষ ভাব দূর করে লবঙ্গ তেল।
- নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে লবঙ্গ তেল এর পাশাপাশি চুল বৃদ্ধিতে কাজ করে।
- মুঠো মুঠো চুল ওঠা বন্ধ করে লবঙ্গ তেল।
- দাঁতের চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য লবঙ্গ তেল খুবই উপকারী।
লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক
- লবঙ্গ অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে রক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে।
- যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে লবঙ্গ থেকে দূরে থাকাই উত্তম।
- অধিক পরিমাণে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া ও পেটের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে লবঙ্গ তেল খেলে রক্ত জমাতে বাধা প্রদান করে।
- অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়ার ফলে লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অধিক পরিমাণে লবঙ্গ খাওয়া হলে ভাইপোগ্লাইসেমিয়া মত সমস্যা হতে পারে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার লেভেল একেবারে মাঝে মাঝে নেমে যায় সেজন্য তাদের লবঙ্গ না খাওয়াই উত্তম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url