শসা খাওয়ার ১৩ টি উপকারিতা - শসা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
শসা খাওয়ার ১৩ টি উপকারিতা এবং শসা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে নিন। শসা আমাদের সকলের চেনা একটি সবজি। আর শসা ঠান্ডা প্রকৃতির হওয়ায় আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শসা রূপচর্চার কাজেও বেশ কার্যকরী।
শসা সালাট ছাড়াও এমনিতে আবার রান্না করেও খাওয়া যায়। শসার ক্যালরি খুবই কম। এটি সারা বছর পাওয়া যায়। শসার পুষ্টিগুণও রয়েছে অনেক। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক শসা খাওয়ার ১৩ টি উপকারিতা এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ শসা খাওয়ার ১৩ টি উপকারিতা
- শসা খাওয়ার ১৩ টি উপকারিতা
- শসা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা
- রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা
- ওজন কমাতে শসার উপকারিতা
- অতিরিক্ত শসা খেলে কি হয়
- শসা খাওয়ার নিয়ম
- মুখে শসা ব্যবহারের নিয়ম
- চোখে শসা দিলে কি হয়
- পরিশেষে
শসা খাওয়ার ১৩ টি উপকারিতা
শসা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। শসা শরীরকেঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শসা পানির একটি দারুন উৎস। ৯৫ শতাংশ পানি থাকে। শসাতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ম্যাঙ্গানিজ ও কপার। এটি গ্রীষ্ম কালের সবজি তবুও সারা বছর এটি পাওয়া যায়। শসা খুবই উপকারী একটি উপাদান। চলুন জেনে নেওয়া যাক শসা খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা সম্পর্কে।
- বয়স বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে হাড় ক্ষয় হয়ে যায়। আর হার ক্ষয় এর সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে আপনাদের খাদ্য তালিকায় শসা রাখুন। কেননা শসা হলো ভিটামিন কে এর প্রাকৃতিক উৎস।
- যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা বেছে নিতে পারেন শসা। কেননা শসাতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম যার ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। এ ক্ষেত্রে আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় শসা রাখতে পারেন।
- যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিনের খাদ্যের সাথে রাখতে পারে শসা। সডিয়াম এবং পটাশিয়াম এই দুটির ওপরে রক্তচাপের মাত্রা নির্ভর করে। আর শশায় পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম উভয় রয়েছে। যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে।
- শসা খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। শসার বীজে থাকা পুষ্টি উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়।
- যাদের আলসার অথবা এসিডিটির সমস্যা রয়েছে। তাদের জন্য শসার রস খুবই উপকারী। শসা এবং শসার রস খাওয়ার ফলে এসিডিটি, আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
- ডায়াবেটিস রোগীর জন্য শসা একটি খুবই উপকারী সবজি। যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা শশা বা শসার রস খাওয়ার ফলে উপকার লাভ করবে।
- শসা উপকারী একটি সবজি। নখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি দাঁত ও মাড়ির সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি হল শসা। মারি ও দাঁতের সমস্যার দূর করতে সাহায্য করে শসা।
- চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে শসা। আমরা অনেকেই ত্বকের চর্চা করার সময় চোখের পাতার উপরে শসা দিয়ে থাকি। চোখের পাতায় শসা দেওয়ার ফলে পাতার কালো ভাব দূর হয়। এর পাশাপাশি চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে।
- মাথা ধরা বা মাথাব্যথার সমস্যা রয়েছে। এর জন্য আপনার করণীয় ঘুমোতে যাওয়ার আগে শসা খেয়ে নিলে ঘুম ভালো হওয়ার পাশাপাশি মাথা ধরা থেকে রেহাই দেবে। এবং শরীরকে চাঙ্গা করে দেবে। ভিটামিন বি ও সুগার থাকার কারণে এটি হয়ে থাকে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধে শসার কাজ রয়েছে। শসাতে থাকা কিউকারবিটাসিন একটি যৌগ। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শসার মধ্যে থাকা একটি যৌগ প্রোস্টেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
- আপনারা অনেকেই জয়েন্টের ব্যথায় ভোগেন। শসা শুধু ত্বকের ক্ষেত্রেই উপকারী নয় বরং এটি পেশির ক্ষেত্রেও উপকারী। এটি হার এবং পেশিকে শক্তিশালী করে তোলে। জয়েন্টের ব্যথা নিরাময়ের কাজ করে। এজন্য আপনি নিয়মিত শসা খেতে পারেন।
- নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে কিডনিতে হওয়া পাথর গলে যায়। শসাতে যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বজ্র পদার্থ অপসরণে কাজ করে। তাই আপনার খাদ্য তালিকা শসা রাখুন।
- ত্বকের যত্নে খুবইউপকারী। ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। শসাতে থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সিলিকন যা থাকা ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আবার চোখের পাতায় থাকা ময়লা দূর করতে সাহায্য করে।
শসা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
শসা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানুন। ত্বকের যত্নে শসার ব্যবহার অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। সতেজ ত্বকের জন্য শশা একটি উপকারী উপাদান। ত্বকে দাগমুক্ত করতে শসা ব্যবহার করুন। শশায় থাকা পানি, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ও ক্যাফিক এসিড এই উপাদান গুলো ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। জেনে নেই শসা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়।
- নিয়মিত শসা রস ব্যবহার করলে তকে থাকা ব্রনের সমস্যা দূর হয়। আবার ত্বকের চুলকানিও দূর হয়।
- শশার রস নারিকেল তেলের সাথে মুখে ব্যবহার করলে মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে।
- চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে শসা।
- ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে শসার রসের ফেসপ্যাক।
- শসার রস ও অ্যালোভেরা জেল একসাথে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে ফেলুন। এবং এটি মুখে পনেরো মিনিট রাখুন। তাহলে কালকে দাগ দূর হবে।
- শশা ভেজানো পানি ব্যবহারের ফলে ত্বক হবে উজ্জ্বল। এর জন্য আপনাকে এক গ্লাস পানিতে কয়েক টুকরা শসা ভিজিয়ে রাখতে হবে ফ্রিজে। পরের দিন সেই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
- গ্রিন টি এবং সোশ্যাল রস মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
- আবার শসার রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন পনেরো মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। আর নিয়মিত প্যাক ব্যবহারের ফলে ত্বক হবে উজ্জ্বল এবং দাগহীন।
- শসার রস এবং গোলাপজল, মধু ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে ফেলুন। ফেসপ্যাকটি ১৫ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন তারপর ধুয়ে ফেলুন। এটি মুখের ত্বক টানটান করবে।
খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে শসা খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। শসা শরীরকে হাইড্রেট করার পাশাপাশি টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। খালি পেটে শসা রস খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আবার ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও শসা রসের উপকারিতা হয়েছে।
খালি পেটে শসা খাওয়ার ফলে অনেক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। যার ফলে শরীর সুস্থ ও সতেজ থাকে। খালি পেটে শসা খাওয়ার ফলে রক্তের কোলেস্টেরল এর মাত্রা কম কমাতে সাহায্য করে। শসাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি আর এই শসা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়ার ফলে শরীরে পানির ঘাটতি হয় না।
সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে কষ্টকাঠিন্য, বদহজম, এসিডিটি এবং হজমের সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। আবার শসা রয়েছে ভিটামিন ই যা চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। ত্বকের পরিচর্যার কাজেও শসা ব্যবহার করা হয়। কেননা সাথে শসাতে পানির পরিমাণ অনেক বেশি। কিডনি, ব্লাডার, লিভার ইত্যাদি সমস্যায় বেশ কাজ করে এই শসা।
রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা
রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। রাতে ঘুমানোর আগে কয়েক পিস শসা খেতে পারেন। এটা খাওয়ার ফলে রাতে ঘুম ভালো হবে। এবং ঘুম থেকে ওঠার পরে মাথা শান্ত বা হালকা অর্থাৎ মাথা ধরা বা মাথাব্যথা থেকে আরাম পাবে। যাদের ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ব্যাথার বা মাথা ধরা সমস্যা রয়েছে। তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে শসা। কিন্তু যাদের গ্যাস্ট্রিক বা হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের রাতে শসা না খাওয়াই উত্তম।
ওজন কমাতে শসার উপকারিতা
ওজন কমাতে শসার উপকারিতা দারুন। আমাদের অনেকের ওজন কমানো নিয়ে চিন্তায় পড়ে থাকি।ওজন কমানোর জন্য অনেক নিয়ম অবলম্বন করে থাকি। সারাদিন না খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা চালিয়ে থাকি। ওজন কমানোর জন্য আপনারা বেছে নিতে পারেন শসা। ১ মাস শসার রস পান করলে কমবে আপনার ওজন। শসার অনেক গুনাগুন রয়েছে।
শশায় থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে এবং ফলেট।আপনি যদি নিয়ম মেনে শসার জুস খান তাহলে আপনার মেদ কমবে নিমিষেই। শসার জুস শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং শসার বিষ শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া পেট খোলার সমস্যা এবং মাংসপেশিকে শিথিল করতে সাহায্য করার সাথে সাথে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত শসা খেলে কি হয়
অতিরিক্ত শসা খেলে কি হয় এ বিষয়ে জানুন। অতিরিক্ত শসা খেলে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। আমরা অনেকেই ওজন কমানোর জন্য বেশি পরিমাণে থাকি। পুষ্টিগণ সম্পন্ন খাবার হচ্ছে শসা। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শসা খেলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেই অতিরিক্ত শসা খেলে কি হয়।
- বেশি পরিমাণে শসা খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা সমস্যা হতে পারে।
- রাতে শসা খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
- শসাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এন্টিঅক্সিডেন্ট। এই শসা সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক নিয়মে না খেলে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
- বাসায় থাকে 90% পানি। যার ফলে আপনার কিডনির সমস্যা হতে পারে।
- শসা এর প্রচুর পরিমাণে পানি থাকার ফলে প্রসাবের সমস্যা হতে পারে।
- লেবুর রসের সাথে শসা খাওয়া যাবেনা। কেননা লেবুতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে তাই লেবুর সাথে শসার সালাদ খেলে বিপদজনক হতে পারে।
- শশা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা ও ফোলাভাব হতে পারে।
শসা খাওয়ার নিয়ম
শসা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন। শসা অনেক ভাবেই খাওয়া যেতে পারে। অন্যান্য খাবারের সাথে শসা যোগ করে খেতে পারেন আপনি। সকালের খাবারের পর আবার দুপুরের খাবারের সাথে সালাত হিসেবে আবার বিকেলে কোন ভাজা পড়ার সাথে অথবা টক দইয়ের সাথে শসা খেতে পারেন। অন্যান্য খাবারের সাথে শসা খেলে তা খেতে সুস্বাদু লাগে।
তবে খাবার ভারী খাওয়ার পরে শসা খাওয়া উত্তম। খালি পেটে শসা খাওয়ার ফলেও অনেক উপকার হয়ে থাকে। কিন্তু ভারী খেতে খাওয়ায় ভালো যেমন সকালে নাস্তার পরে, বিকালে নাস্তার সাথে। সেজন্য নিয়ম করে খাওয়া প্রয়োজন।অন্যান্য খাবারের সাথে শসা খাওয়ার ফলে আপনার খাবার ধীরে ধীরে হজম হতে থাকে এবং তার ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আবার রক্তের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে এই শশা। পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তবে মাথায় রাখতে হবে শসা ওজন কমাতে সাহায্য করে ঠিকই কিন্তু এটি বেশি খাবারের ফলে আপনার উপকারের বদলে ক্ষতি হবে।
মুখে শসা ব্যবহারের নিয়ম
মুখে শসা ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন। ত্বকের যত্নে সসের ব্যবহার খুবই উপযোগী। সতেজ ত্বকের জন্য মাধ্যম। গরমে ত্বকের যত্ন নিতে শসার ফেসমাক্স ব্যবহার করতে পারেন। শসার ব্যবহারে মুখের জ্বালাপোড়া ভাব কমে এবং অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গরমে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায় যার ফলে খুব ঘাম হতে থাকে এবং তখন বন্ধ হয়ে যায় তার ফলে ময়লা জমে।
যার ফলে দূষণের খারাপ প্রভাব পড়ে। যার ফলে মুখে জ্বালাপোড়া করে এ থেকে সংক্রমণের প্রভাব বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি হয়। সেজন্য আপনি গরমের সময় ত্বকের যত্ন নিতে শসার ফেসমাক্স ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারে আপনার ত্বক ভালো থাকবে।
আবার রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে শশা। শসার রসের সাথে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিন। এখন এই প্যাকটি মুখের ত্বকে বিশ মিনিট এর জন্য লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট হয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি আর শসার উপাদান উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করবে এবং রোদেপোড়া দাগ দূর করবে।
শসা রস ত্বকের বলী রেখা দূর করতে সাহায্য করবে। এটি করার জন্য আপনাকে তৈরি করতে হবে একটি প্যাক। প্রথমে দুই চামচ শসা রসের সাথে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে তাতে ডিমের সাদা অংশ দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর ২০ মিনিট ত্বকের লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আর এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বকের বলিরেখা দূর হবে এবং ত্বক টানটান থাকবে।
চোখে শসা দিলে কি হয়
চোখে শশা দিলে কি হয় সে বিষয়ে জানুন। আমরা ফেসিয়াল বা রূপচর্চার কাজে শসা ব্যবহার করে থাকি। আমরা অনেকেই চোখের উপরে শসার টুকরো রেখে দিই। এর কারন কি জানেন। শসা রয়েছে থায়ামিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর মত বিভিন্ন উপাদান। এ ধরনের উপাদানগুলো দৃষ্টিশক্তির জন্য খুবই উপকারী।
চোখের যত্নের জন্য ব্যবহার করা হয় শসা। শসাতে থাকা বিভিন্ন উপাদান চোখের নানা ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এর মধ্যে চোখের ফোলা ভাব। চোখের চারপাশে যে স্কিন থাকে তা অনেক পাতলা। আর এই স্কিনে শসা রাখলে ত্বক আদ্র হয়। আর ত্বক কুচকে যাওয়া থেকেও রক্ষা পায়। চোখের নিচের ত্বক ঝুলে পরা থেকে রক্ষা পায়।
পরিশেষে
আজকের এ আর্টিকেলে শসা খাওয়ার ১৩ টি উপকারিতা এবং শসা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ফেসপ্যাক এবং শসার নানা ব্যবহার এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। শশা অত্যন্ত স্বাস্থ্য উপকারী ফল। এটি খাওয়ার ফলে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি মিলে। বিশেষ করে ত্বকের ক্ষেত্রে শসার উপকারিতা অনেক। এবং ত্বকের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় শশা।
গরমের সময়ে শরীর মনকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। শসাতে পানির পরিমাণ খুব বেশি থাকায় গরমের সময়ে শরীরের প্রয়োজনীয় পানির যোগান দিতে পারে শসা। ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী শসা। প্রিয় পাঠক, আজকেরে আর্টিকেলটি পরে যদি আপনারা উপকৃত হন তাহলে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। লাইফ স্টাইল বিষয়ক তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url