ঘন ঘন জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন
ঘন ঘন জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ এবং জ্বর ঠোসার প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন। আমরা যাকে জ্বর ঠোসা ভাবি যা ভাইরাস জনিত খুবই ছোঁয়াচে সংক্রমণ। জ্বর ঠোসা হার্পিস সিমপ্লেক্স নামের ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে।
আমরা অনেকেই ভাবি শরীরের ভেতরে জ্বর আসলে অথবা ঠান্ডা লেগে জ্বর হলে জ্বর ঠোসা হয়ে থাকে। চিকিৎসকেরা এ কথার সাথে একমত নয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘন ঘন জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ঘনঘন জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ এবং এর প্রতিকার
- ঘন ঘন জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ
- জ্বর ঠোসার প্রতিকার
- জ্বর ঠোসা সরানোর ঘরোয়া উপায়
- জ্বর ঠোসা হলে কি করা উচিত
- নাকের জ্বর ঠোসা হলে করনীয়
- জ্বর ঠোসা কোথায় হয়
- জ্বর ঠোসা সারানোর ক্রিম
- জ্বর ঠসা সারানোর মেডিসিন
- জ্বর ঠসার হোমিও ঔষধ
- পরিশেষে
ঘন ঘন জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ
ঘনঘন জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ কি এ বিষয়টা অনেকেরই অজানা। আমরা অনেকেই জানি জ্বর হলে জ্বর ঠোসা হয়। চিকিৎসকেরা একথার সাথে একমত নয়। চিকিৎসকদের মতে ঠোঁটের কোণে ঘা বা ফুসকুড়ি উঠলে তাকে বলা হয়। চিকিৎসকদের ভাষায় একে ফিভার ব্লাস্টার বলা হয়। জ্বর ঠোসা এমন একটি ভাইরাস যার শরীরে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে।
জ্বর ঠোসা হয়ে থাকে হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস এর কারণে। এই ভাইরাসটি একবার শরীরের ভেতরে প্রবেশ করলে এটা সারাজীবন থেকে যায়। নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে এবং মাঝে মাঝে জেগে ওঠে ঠোসা সৃষ্টি করে। জ্বর ঠোসা মূলত মুখের কোনে হয়। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তার ঘায়ের রূপ ধারণ করে। এর ফলে সেখান থেকে ব্যথা, যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়।
জ্বরঠোসা শীতকালে একটু বেশি দেখা যায়। জর ঠসা অনেক অস্বস্তিকর একটা রোগ। যার ফলে খেতে অসুবিধা হয় ঠোঁটে জ্বালাপোড়া করে আবার জ্বরঠোসা ঠোঁটের কোণে থাকার ফলে মুখ হা করতে গেলে জ্বর ঠোসা ফেটে রক্ত বের হয়ে আসে। সেখানে অসম্ভব ব্যথা ও জ্বালার সৃষ্টি হয়। জ্বরঠোসার ব্যথা, যন্ত্রণা ও জ্বালা খুবই বিরক্তিকর।
জ্বরঠোসা ফিভার ব্লাস্টার এর কারনে হয়ে থাকে। ফিভার ব্লাস্টার এর কারণ হচ্ছে HSV-1 ইনফেকশন। আরে ইনফেকশনের কারণে জ্বর আসে। আবার জ্বরের কারণেও ফিভার ব্লাস্টার হতে পারে। আর এর ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি ও ভিটামিন সি এর অভাবে জ্বর ঠোসা হয়ে থাকে।
জ্বর ঠোসার কারণ ও প্রতিকার
জ্বরঠোসা ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে সংক্রমণ। এটি হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের জন্য হয়ে থাকে। জ্বর সেকেন্ডারি সংক্রমণও হয়। জ্বর ঠোসা মুখের আশেপাশে মুখের ভেতরে বা নাকে হয়ে থাকে। জ্বরঠোসা হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা জিনিসপাতি যেমনঃ তোয়ালে, পানির গ্লাস, চামচ, প্লেট ইত্যাদি। জেনে নেওয়া যাক জ্বর ঠোসার প্রতিকার সম্পর্কে।
- জ্বর ঠোসা আক্রান্ত ব্যক্তির জামাকাপড়, তোয়ালে, টিস্যু এবং রুমাল ব্যবহার করা যাবে না।
- ছোট সোনামণিদের চুম্বন করা যাবে না।
- বড় কাউকেও চুম্বন করা যাবে না।
- মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
- পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠা যায়।
- আক্রান্ত ব্যক্তির প্লেট, বাটি, পানির গ্লাস, চামচ ও কসমেটিক্সের জিনিসপাতি ব্যবহার করা যাবে না।
- সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
- ব্লিস্টার স্পর্শ করার পর হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
উপরিক্ত জিনিসপত্র ব্যবহারের ফলে এই ছোঁয়াচে সংক্রমণটি ছড়িয়ে পড়ে। তাই এগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকায় শ্রেয়।
জ্বর ঠোসা সরানোর ঘরোয়া উপায়
জ্বর ঠোসা সারানোর ঘরোয়া উপায় অনেকের জানা নেই। তাহলে চলুন জ্বর ঠোসা সারানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিই। জ্বরঠোসা ছোঁয়াছে একটি রোগ। শীতের সময় সব রোগেরই প্রকট বেশি হয়। শীতের সময় ঠোটের কোণে জ্বর ঠোসা নাকের উপরে জ্বরঠোসা এগুলো হতে পারে। সাধারণত জ্বরের পরে এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে।
আর জ্বর ঠোসার ব্যাথা যন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করুন। আবার জ্বরঠোসা পাকাপোক্তভাবে ভালো হতে প্রায় একমাস সময় লেগে যায়। জ্বর ঠোসা সারানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নিই।
- জ্বর ঠোসায় ৫ থেকে ১০ মিনিট মধু লাগিয়ে রাখুন। আর এটি দিনে দুইবার ব্যবহার করুন।
- জ্বর ঠোসায় রসুনের কোয়া বেটে লাগাতে পারে। দিনে তিনবার।
- আবার রসুনের কোয়া ফাটিয়ে তার আঠা লাগাতে পারেন সেই স্থানে।
- কাপড়ে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে কাপড়টি সেই স্থানে রাখতে পারেন শুকানো পর্যন্ত।
- থ্রি অয়েল ট্রি ওয়েল ল টিস্যু বা তুলায় নিয়ে সেই স্থানে লাগাতে পারেন। এতে করে ইনফেকশন ভালো হয়।
- জ্বর ঠোসা ভালো করতে তুলসী পাতার অবদান অনেক। জ্বর ঠোসা ছাড়িয়ে তুলতে তুলসী পাতা কাজ করে।
- মেথি পাতা ভেজানো পানি দিয়ে মুখ ধুলে তা থেকে রেহাই মিলে। এটি দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে হবে।
- আক্রান্ত স্থানের ওপরে এলোভেরা রস লাগিয়ে রাখুন। এটি ঘন ঘন ব্যবহারের ফলে তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যাবে।
- ত্রিফলা দিয়ে জ্বর ঠোসা ভালো করা যায়।
- মধু এবং আমলকির পাউডার একসাথে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানের ওপর লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
তবে হ্যাঁ মনে রাখতে হবে জ্বরঠসার সমস্যাটা জটিল না হলেও খুবই কষ্টদায়ক। যেকোনো সংক্রমণ ব্যক্তির মাধ্যমে ছড়াতে পারে। আর এটা জানা অতি জরুরী যে হাত বা নক দিয়ে জ্বর ঠোসা নাড়া নাড়ি করা যাবে না কেননা এর মাধ্যমে এ ভাইরাসটি চোখসহ দেহের নানা অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে।
জ্বর ঠোসা হলে কি করা উচিত
জ্বর ঠোসা হলে কি করা উচিত এ বিষয়ে ব আলোচনা করব। জ্বর ঠোসা হলে আমাদের করণীয় হচ্ছে আক্রান্ত স্থানে হাত বা ক নখ না লাগানো। কেননা এ হাত আক্রান্ত স্থানে লাগালে এর মাধ্যমে এ ভাইরাসটি দেহের বিভিন্ন অংশে এবং চোখে ছড়িয়ে পড়বে। এমনিতেই প্রতিবছরে এই ভাইরাসের কারণে অনেক মানুষ অন্ধ হয়ে গেছে।
জ্বরঠোসা আক্রান্ত মহিলার নবজাতকের মাঝেও এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে যেতে পারে যার ফলে নবজাতকের মৃত্যু হতে পারে। এ ভাইরাসটি যত সহজ ভাবছি ততটা সহজ নয়। এটি খুবই ্মক মারাত্মক। তাই হেলাফেলা না করে সতর্কতা অবলম্বন করে চলুন। নিম্নে জর ঠসা হলে কি করা উচিত এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
- আপনার জ্বর ঠোসা হলে আপনি কিছু ঘরোয়া নিয়ম মেনে চলতে পারেন। যেমন ধরুন এটি দ্রুত সারাতে অ্যান্টি ভাইরাল ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিম জ্বর ঠোসার উপরে লাগানোর সময় আলতো করে লাগান। লাগানো হয়ে গেলে সাবান দিয়ে হাত ভালো করে ধুয়ে নিন।
- ঘরোয়া নিয়ম মেনে আপনি মধু দিয়ে তা ভাল করতে পারেন
- আবার রসুনের কথা করে আক্রান্ত স্থানে রাগাতে পারেন।
- আবার জ্বর ঠোসায় ব্যথা যন্ত্রণা ও জ্বালা করে তার জন্য আপনি আক্রান্ত স্থানে বরফ লাগাতে পারেন। আবার ব্যথা কমানোর জন্য ছোট ছোট বরফ কিউব খেতে পারেন।
- আবার ঠান্ডা শেষও দিতে পারেন আক্রান্ত স্থানে। একটি ছোট কাপড় পানিতে 10 থেকে 15 মিনিট ভিজিয়ে রাখতে পারেন এর ফলে জালা ও ব্যথা কমবে।
- আবার ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে জন্য আপনি প্যারাসিটামল খেতে পারেন
নাকে জ্বর ঠোসা হলে করনীয়
আমরা অনেকেই ভেবে থাকি শরীরের ভেতরে জ্বর আসার ফলে জ্বর ঠোসা হয়ে থাকে। আবার সর্দি-কাশি বা ঠান্ডা লাগার ফলেও এটি হয়ে থাকে। এই কথাগুলোর সাথে চিকিৎসকেরা একমত নয়। কেননা তারা বলে থাকে এটি ফিভার ব্লাস্টারের কারণে। ঠোটের এক কোণে কিছু ফুসকুড়ি বা সেখানে ঘা হলে তাকে জ্বর ঠোসা বলে।
জ্বর ঠোসা শুধু যে ঠোঁটের এক কোণে হবে তা নয় এটি মুখের ভেতরেও আবার ঠোঁটের ভেতরে চোয়ালে অথবা নাকের উপরে হতে পারে। তাহলে নাকে জ্বর ঠোসা হলে আমাদের করণীয় হলো ঠোঁটে জ্বর ঠোসা হলে যেভাবে ভালো করার চেষ্টা করি সেভাবেই সব প্রসেস করতে হবে। আপনি নাকের উপরে আক্রান্ত স্থানে বরফ লাগাতে পারেন।
আক্রান্ত স্থানে অনেক ব্যথা অনুভব হওয়ার জন্য আমরা ব্যবহার করে থাকি বরফ। আবার আক্রান্ত স্থানে মলম ব্যবহার করতে পারি। আবার জ্বর ঠোসার ব্যথা সারানোর জন্য প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন খেতে পারেন। আবার আপনি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে তা ভালো করতে পারেন। যেমন ধরুন খেত করে ক্ষতস্থানে লাগানো ও আরো অনেক কিছু।
জ্বরঠোসা কোথায় হয়
জ্বর ঠোসা কোথায় হয় এ নিয়ে আলোচনা করব। শরীরে হার্পিস সিমপ্লেক্স টাইপ - 1 ভাইরাস এর সংক্রমণের ফলে জ্বর আসে তাহলে জ্বর ঠোসা হয়। জ্বর ঠোসা দেখতে ফুসকুড়ির মত। এ ফুসকুড়ির ভিতরে তরল থাকে। জ্বর ঠোসা ওঠার ২ থেকে ৩ তিন দিন পর তা ঘায়ের রূপ ধারণ করে। এর ফলেপ্রচন্ড ব্যথা হয় এবং জ্বালা যন্ত্রণা করে।
তা থেকে মাঝে মাঝে রক্ত ও কস বেরিয়ে থাকে। জ্বর ঠোসা ঠোঁটের কোণে বা ঠোঁটের বর্ডারে আবার ঠোঁটের যে কোন স্থানে হয়। এটি মুখের ভেতরে আবার মাঝে মাঝে নাকের ওপরেও হয়ে থাকে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এটি ঠোঁট ও নাকের মাঝামাঝি অংশে সৃষ্টি হয়। এটি খুবই পীড়া দায়ক। তাই আক্রান্ত ব্যক্তি যদি কিছু নিয়ম মেনে চলে তাহলে জ্বর ঠোসা অতি তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে।
জ্বর ঠোসা সারানোর ক্রিম
জ্বরঠোসা সারানোর ক্রিম নিয়ে আলোচনা করব। জ্বরঠোসা সারানোর জন্য আমরা অনেকেই ঘরোয়া উপায় মেনে চলি। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মধু, রসুন এর কস , তুলসীর রস, এলোভেরার রস ইত্যাদি। জ্বর ঠসা সারানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন মাইকোনাজল ২% ক্রিম ব্যবহার করা হয়। এটি মুখের ভেতরের ছত্রাক সংক্রমণ চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।
মাইকোনাজল এই ক্রিমটি ত্বকের সংক্রমনের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে থাকে। আবার আক্রান্ত স্থানে জ্বালাপোড়া লালচে ভাব কমাতে লিডোকেন জাতীয় জেল ব্যবহার করা হয়। আবার ব্যথা জ্বর এবং ফোলা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল খেতে পারেন। ফার্মেসিতে গেলে জ্বর ঠোসার ঔষধ কোন কোন নামে বিক্রি করে সে বিষয়ে জানতে পারবেন।
জ্বর ঠোসা সারানোর মেডিসিন
জ্বর ঠোসা সারানোর মেডিসিন নিয়ে আলোচনা করব। বেশিরভাগ মানুষে জ্বর ঠোসা একবার দুই সপ্তাহের মধ্যে চিকিৎসা না নিয়ে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু কিছু কিছু ঔষধ আছে যা খাওয়ার ফলে আক্রান্ত স্থানের ব্যথা কমাতে এবং তা সারাতে ভালো কাজ করে। এই ঔষধ গুলো শরীর থেকে ভাইরাস ধ্বংস করতে সক্ষম হয় না। কিন্তু প্রথম জ্বর ঠোসা হলে কি করনীয় এ বিষয়ে জেনে নিন।
জ্বরঠোসা ছাড়সানোর এন্টিভাইরাল ঔষধ গুলো হল ভ্যালাসাইক্লোভির, অ্যাসাইক্লোভির ইত্যাদি। এছাড়া এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ক্রিম গুলো জ্বরঠোসা ব্যবহারের ফলে দ্রুত ভালো হয়। এই ক্রিমগুলো ১ সপ্তাহ বা ৫ দিন আক্রান্ত স্থানে তিন থেকে চারবার লাগাতে পারে। জ্বর ঠোসা ভালো করার জন্য ঔষধ খাওয়ার পাশাপাশি ক্রিম লাগাতে পারেন।
আপনি কোন ডাক্তারের কাছে গেলে আপনাকে জ্বর ঠোসা ভালো করার ঔষধ এবং ক্রিম দিতে পারে।যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম তারা নিয়মিত ওষুধ খেতে পারেন। আর এর পাশাপাশি প্যারাসিটামল এ জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। উপরোক্ত ঔষধ গুলি খাওয়ার ফলে আপনার জ্বর ঠোসা ভালো করতে পারেন।
জ্বর ঠোসার হোমিও ঔষধ
জন্য হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করা করব। আপনি যদি যেকোনো সমস্যায় হোমিও চিকিৎসা চান তাহলে আপনাকে হোমিও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ডাক্তার না দেখিয়ে হোমিও ওষুধ খাওয়া উচিত। কেননা হোমিও ও অ্যালোপ্যাথি দুটি আলাদা বিষয়। তাহলে চলুন জেনে নেই জ্বর ঠোসার হোমিও ঔষধ সম্পর্কে।
- Arsenic Alb
- Calc flour
- Crotalous horridus
- Croton tig
- Graphites
- Lac canainum
- Medorrhinum
- Natrum mur
- Rhus tox
- Sepia
এই রোগের লক্ষণ অনুযায়ী উপরিক্ত ওষুধগুলো ব্যবহার করা হবে।
পরিশেষে
আজকেরে আর্টিকেলে ঘন ঘন জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ এবং জ্বর ঠোসার প্রতিকার এবং কারণ সম্পর্কে ও এটি কিভাবে ভালো হবে এ নিয়ে আলোচনা করেছি। আবার ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে খুব দ্রুত জ্বর ঠোসা ভালো হয়ে যায় এ নিয়ে আজকের আর্টিকেলে বলা হয়েছে। জ্বর ঠোসা ছোঁয়াচে সংক্রমণ। যা আক্রান্ত ব্যক্তির লালার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
তাই এই সময়ে আক্রান্ত ব্যক্তির সতর্ক থাকা উচিত। আক্রান্ত জায়গায় নখ বা হাত লাগানোর পরে চোখে বা মুখে হাত লাগানো একেবারেই নিষিদ্ধ। কেননা এই ভাইরাস চোখে ছড়িয়ে পড়ার ফলে সেই ব্যক্তি অন্ধ হয়ে যেতে পারে। প্রিয় পাঠক আজকের এ আর্টিকেলটি পরে যদি উপকৃত হন তাহলে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url