কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার উপকারিতা - নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা হলুদ ও নিম পাতা এবং নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা কম বেশি সকলেই জানি। শরীরের যত্নে ও ত্বকের সৌন্দর্য চর্চায় নিম পাতা উপকারিতা অনেক। নিম পাতা ও হলুদের ব্যবহার অনেক পুরনো।
নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে ত্বকের নিয়মিত যত্ন নেওয়া জরুরী। নিম পাতা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কাঁচা হলুদ ও নিম পাতা
- কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার উপকারিতা
- নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা
- নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়
- ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
- তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার
- চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার
- চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
- নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- নিমপাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা
- ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়
- কাঁচা হলুদ আর মধু খেলে কি হয়
- সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে কি হয়
- শেষ মন্তব্য
কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার উপকারিতা
কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। হলুদের রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সি। এবং এতে কারকিউমিন নামক রাসায়নিক থাকে যা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। প্রাচীন আয়ুর্বেদ স্বাস্থ্য মতে, মহাঔষধি। চলুন জেনে নেয়া যাক কাঁচা হলুদের উপকারিতা।
- ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি একটি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ। কেননা কাঁচা হলুদের রয়েছে এমন কিছু আন্টি অক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি আটকাতে পারে। সেজন্য এই মরন ব্যাধি রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- হার্ট সুস্থ রাখতেঃ এখন ছোট বড় সবাই খাটের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। এজন্য চিকিৎসকরা হার্টের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। আপনার হাতের কাছে থাকা এক টুকরো কাঁচা হলুদ দিয়ে হাতের খেয়াল রাখার কাজে উপযোগী। হলুদের উপস্থিত কার কিউমিন নামক উপাদান হাতের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পারে। তাই হার্টের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করেঃ কাঁচা হলুদ হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। কাঁচা হলুদের থাকা কার কিউমিন হাড়ের ক্ষয় ও হাড়ের গঠনের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখে। হারকে সুস্থ ও মজবুত রাখে এই কাঁচা হলুদ।
- হাড় জোড়া লাগাতে সাহায্য করেঃ হলুদ লাগানোর কথা তো আপনারা সবাই জানেন। তাছাড়া কাঁচা হলুদ বাটা ভাঙ্গা হাড়ের জায়গায় লাগালে তার উপকার পাওয়া যায়। দুধে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খেলে তারা উপকার পাওয়া যায়। হলুদের থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি শরীরের ব্যথা, প্রদাহকে কমায় এবং হাড়ের টিস্যু গুলোকে রক্ষা করে ও হারভাঙ্গা জোড়া লাগাতে সাহায্য করে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করেঃ ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় হচ্ছে পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখা। আর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় হলুদ পানি যোগ করলে তা হজম শক্তি উন্নত করে। আর এটি আপনার বিপাককে বাড়িয়ে দেয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করেঃ বাতের ব্যথা বা জয়েন্ট এর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে হলুদ। এখন নারীদের একটু বয়স হলেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হলুদে এন্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে এটি আপনার বাতের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
- ত্বকের ক্ষেত্রেঃ ত্বকের জন্য উপকারী একটি উপাদান হলো হলুদ। হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। নিয়মিত হলুদ পানি খেলে তা আমাদের ত্বকে তরুণ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
- শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করেঃ আমরা আমাদের খাদ্য, পরিবেশ এবং বাতাসের মাধ্যমে প্রতিদিন বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ গ্রহণ করে থাকি। আর এগুলো আমাদের অসুস্থ করে তুলতে যথেষ্ট। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে অপসারণ করা অনেক জরুরী। আর প্রতিদিন এক গ্লাস হলুদ পানি খেলে তার শরীর থেকে বজ্র বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ। হলুদের আপনার বিভিন্ন রোগে দূরে রাখতে সাহায্য করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করেঃ চোখের নিচের কালো দাগ চেহারার সৌন্দর্যতা নষ্ট করে। এর জন্য আমরা বাজারের বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহার করে থাকি। এগুলো ব্যবহার না করে প্রতিদিন নিয়ম মত হলুদ দিয়ে তৈরি করে ফেলুন একটি ফেসপ্যাক যা চোখের আশেপাশে লাগালে চোখে নিচের কালো দাগ দূর হবে কিছুদিনের মধ্যে।
- ব্রনের সমস্যা দূর করেঃ ব্রণের সমস্যা দূর করতে হলুদ দারুন উপকারই। কেননা হলুদে প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক থাকে। লালচে ভাব ও ব্যথা কমিয়ে ধীরে ধীরে ব্রণ সারিয়ে তোলে।
- ঘুমের সমস্যা দূর করেঃ যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা হলুদ মিশ্রিত দুধ পান করতে পারে।হলুদের দুধ আপনার মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এবং ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে আর যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে হলুদের দুধ পান করলে তাদের জন্য খুবই উপকার হবে।
- বয়সের ছাপ পড়া রোধ করেঃ প্রতিদিন নিয়মিত হলুদ মিশ্রিত দুধ পান করলে ত্বক সুন্দর থাকে এবং ত্বক সতেজ ও টানটান থাকে। এবং এর পাশাপাশি ত্বকে বয়সের সাপ পড়া রোধ করতে হলুদ দুধ খুব উপকারী। এটা ব্রণ নিরাময়ে সাহায্য করে।
নিম পাতা স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। নিম পাতার রয়েছে অনেক ঔষধিগুণ।নিমের সবকিছুই কাজে লাগে। নিমের ডাল, পাতা, পাতার রস সবকিছুই কাজে লাগে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে নিম পাতায় রয়েছে বহু ওষুধের গুণাবলী। নিম পাতা শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয় বরং রূপচর্চার কাজেও ব্যবহার হয়ে আসছে অনেক দিন ধরে। তাহলে চলুন পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। ক্ষত সারাতে সাহায্য করেঃ ক্ষত সারাতে নিম পাতার ব্যবহার অনেক পুরনো। ক্ষত বা কীটপতঙ্গের কামড়ে সৃষ্ট ক্ষততে প্রতিদিন কয়েকবার করে নিমপাতা বেটে লাগালে তা দ্রুত সেরে যায়।
- চোখের সমস্যা দূর করতেঃ চোখের সমস্যা দূর নিম পাতা কাজ করে। চোখের সমস্যা দূর করতে কিছু নিমপাতা সেদ্ধ করে নিন। এরপর পানিটুকু থেকে পুরোপুরি ঠান্ডা করে নেয়। এরপর সেই পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে নিন এর ফলে চোখের যে কোন ধরনের প্রদাহ, ক্লান্তি এবং লালচে ভাব দূর হয়।
- ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করেঃ আমাদের সকলেরই ব্রণের সমস্যা রয়েছে। এই ব্রণের সমস্যা দূর করতে পারে নিমপাতা। নিমপাতা বেটে লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এজন্য মুখে ব্রণ বের হলে নিম পাতা লাগাতে পারে।
- চুলকানি দূর করতেঃ চুলকানি সাহায্য করে নিমপাতা। চুলকানি একটি অস্বস্তিকর রোগ। চুলকানি দূর করতে নিমপাতা বেটে লাগালে পারেন। তাছাড়া মাথার ত্বকের চুলকানির ক্ষেত্রে নিম পাতার রস খুবই উপকারী উপাদান।
- দাঁতের যত্ন নিতে সাহায্য করেঃ দাঁতের যত্ন নিতে নিমের ডাল খুবই উপকারী। মুখের দুর্গন্ধ ও দাঁতের ফাঁকে জীবাণুর সংক্রমণ রোধ করে নিম। তাছাড়া শরীরের ক্ষতস্থানে নিম পাতার রস লাগালে সেটা ওষুধের মতো কাজ করে।
- গায়ের দুর্গন্ধ দূর করতেঃ গায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে নিম পাতার পানি খুবই কার্যকরী। ছেলে মেয়ে উভয়েরই ঘামের দুর্গন্ধ রয়েছে। এই দুর্গন্ধ দূর করতে নিম পাতার রস খুবই কার্যকরী উপাদান।এজন্য যাদের দুর্গন্ধ বেশি হয় তারা নিমপাতা পানির সাথে হালকা গরম করে গোসল করতে পারেন।
- নিম পাতার বড়িঃ নিম পাতার বড়ির অনেক উপকারিতা রয়েছে। এই নিম পাতার বড়ি আপনারা বাড়িতে বানাতে পারেন। নিমপাতা বেটে রোদে শুকিয়ে বড়ি বানাতে পারেন। প্রতিদিন খালি পেটে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। যেমনঃ কষ্ট কাঠিন্য, চুলকানি, এবং লিভারের সমস্যা ইত্যাদি।
- ত্বকের যত্নে নিম পাতাঃ ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে নিম পাতার বেশ কার্যকারিতা রয়েছে। নিম পাতা ও হলুদ বেদে মুখে লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। নিমপাতা ও হলুদের প্যাকটি ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে এবং ত্বকে নরম ও কোমল করে।
- ক্যান্সার দূর করেঃ ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে নিন পাতা। নিম তেল, নিমের বাকল ও পাতার নির্যাস ব্যবহারে ক্যান্সার, টিউমার এবং স্কিন ক্যান্সার ভালো হয়।
- হৃদরোগ দূর করেঃ নিম পাতার নির্যাস খেলে হৃদরোগ থেকে বাঁচা যায়। নির্যাস ব্লাড প্রেসার ও কোলেস্টেরল কমায়। রক্ত পাতলা করে ও হার্টবিট ভালো রাখে।
- উকুন দূর করতে সাহায্য করেঃ উকুন দূর করতে নিম ফুলের কার্যকারিতা অনেক। নিমের ফুল বেটে মাথায় মাখলে উকুন দূর হয়।
- রাতকানা রোগ দূর করেঃ রাতকানা রোগ দূর করতে সাহায্য করে নিমের ফুল। নিম ফুলের ভাজা খেলে রাতকানা রোগ হতে উপসম মেলে।
- প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করেঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় নিমপাতা। নিম পাতার চূর্ণ করে এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাই পাই।
নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা
নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকার অনেক। কেননা নিম পাতার বড়ি খাওয়ার ফলে অনেক কষ্ট কাঠিন্য দূর হয়। এর দ্বারা মানুষ অনেক উপকৃত হয়ে থাকে। নিম পাতা দিয়ে অনেক ওষুধ তৈরি করা হয়।কৃমিনাশক হিসেবে নিম পাতার রস খুবই কার্যকরী। নিম পাতার রস রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চমৎকার কাজ করে।
নিম পাতার বড়ি খাওয়ার ফলে এতে হজমের ক্ষমতা উন্নতি করে, ক্লান্তি দূর করে, ক্ষত তাড়াতাড়ি নিরাময় করতেসাহায্য করে। আবার মুত্র নালীর সংক্রমণ কমায়, কৃমির সমস্যা দূর করে। এই নিম পাতার বড়ি প্রতিদিন খালি পেটে খাওয়ার ফলে অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায়। বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্য, চুলকানি এবং লিভারের সমস্যা এবং ওজন কমায়।
আপনারা বাসায় বানিয়ে নিতে পারেন নিম পাতার বড়ি। এটি বানানোর জন্য প্রথমে নিম পাতাগুলো ধুয়ে বেটে নিতে হবে। তারপর ছোট ছোট বড়ি বানিয়ে রোদে শুকাতে দিতে হবে। ভালো করে শুকিয়ে নিয়ে কাচের বইও বা অন্য কোন বয়েমে সংরক্ষণ করতে পারেন। এটা অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। এর গুনাগুন ভালো থাকবে।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়
ত্বকের যত্নে নিমপাতা ও কাঁচা হল এদের উপকারিতা অনেক যা বলে শেষ করা যাবে না। নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান হিসেবে পরিচিত। কাঁচা হলুদ প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক এবং প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। আর নিম পাতা শক্তিশালী জীবাণু নাশক হিসেবে কাজ করে। তাহলে চলুন জানা যাক নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়।
- নিয়মিত নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ ব্যবহারে ত্বক হবে দুধের মত সাদা।
- মুখের ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের জুড়ি মেলা ভার।
- কাঁচা হলুদ বাটা, বেসন, চালের গুড়া ও টক দই একসাথে মিশিয়ে সারামুখে ও গলায় লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা হাতে ঘষে তুলে ফেলুন একটি সপ্তাহের ৩ দিন ত্বকে লাগালে তাহলে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হবে।
- কাঁচা হলুদ ও মসুর ডাল বাটার সাথে মুলতানি মাটি ও গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে তকে লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।
- রোদে পরা দাগ কমাতে মসুর ডাল বাটা কাঁচা হলুদ বাটা ও মধু , কাঁচা দুধ, নিম পাতার গুড়ো একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। তাহলে ভালো ফল পাবেন।
- আর যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে হলুদ মেশানো পানিতে গোসল করলে সমস্যা অনেক দূর হয়ে যাবে।
- ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁচা হলুদ বাটা।
- কাঁচা হলুদ ও শুকনো কমলার খোসা, নিমপাতার গুরু একত্রে বেটে স্ক্রাবার হিসেবে পুরো শরীরে ব্যবহার করতে পারেন । এতেত্বক পরিষ্কার হবে।
কখনো কাঁচা হলুদ সরাসরি ব্যবহার করা উচিত না। কাঁচা হলুদ যদি ব্যবহার করতে চান তাহলে কাঁচা হলুদ এর রস বের করে নিয়ে চুলায় জাল দিয়ে ব্যবহার করুন। এটা সরাসরি লাগানোর ফলে এতে থাকা স্বাভাবিক তেল ত্বকের স্বাভাবিকভাবে মিশতে অনেকটা সময় নেয়। যার কারণে মাঝে মাঝে এলার্জির সমস্যা হতে পারে।
ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
ত্বকের যত্নে নিম পাতার রস পানি বা দুধের সঙ্গে মিশ্রিত করে খেতে পারেন। কেত্বকের যত্নে নিমের অন্যান্য ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে ব্রণ কমাতে এবং আপনার ত্বকে প্রাকৃতিক আভা প্রদানের কার্যকারিতা।গারো সবুজ রংয়ের নিম পাতার অক্সিডেন্ট গুলির মুক্ত রেডিক্যাল ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। যার কারণে ত্বকে অকাল বার্ধকের লক্ষণগুলো হ্রাস পায়।
ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার অনেক পুরনো। নিম পাতা ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। ক্রয়ের দাগ দূর করার জন্য নিম পাতা পেতে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দাগের ওপর লাগান।তারপর ১৫ মিনিট রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ব্রণের জন্য নিম পাতা খুবই উপকারী একটি উপাদান। নিম পাতা বেটে পেস্ট তৈরি করে তাতে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এ পেটটি ত্বকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এটি তপ উজ্জ্বল ও ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। নিম ও হলুদ ত্বকের সংক্রমণ এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে।এর ফলে ব্রণের প্রকোট কমে।
বলী রেখা দূর করতে সাহায্য করে নিম। এর জন্য আমাদের নিম পাতার গুড়া করে তাতে মুলতানি মাটি ও গোলাপজল মিশিয়ে একটি পেস্ট করে নিতে হবে। এই পেজটি মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে না শুকানো পর্যন্ত। এরপর এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে টক টানটান থাকবে। আবার ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হবে এই ফেস প্যাক ব্যবহারে।
পাতার রস সরাসরি আপনার তকে লাগান। আপনার তোকে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল এর মত ক্যারিয়ার ওয়েলের সাথে মিশিয়ে লাগাতে পারেন এই নিম পাতার রস। আবার আপনি নিমপাতার মাক্স তৈরি করতে পারেন। মাক্স তৈরির জন্য জন্য নিম পাতার গুড়া ব্যবহার করতে পারেন। ব্রণ সারাতে নিম পাতার তেলও ব্যবহার করা হয়।
তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার
তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে অনেকে সমস্যায় পড়েন। তৈলাক্ত ত্বকের নিম পাতা ব্যবহার করে ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়। গরমে ঘাম ঝরার ফলে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়। এ সময় আপনি কমলা ও নিমের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। যার ফলে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
আবার আপনি মুখের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব কমাতে চাইলে শসা ও নিমের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। আবার নিম টক দইয়ের পেছনে ব্যবহার করতে পারেন। বলিরেখা ও মুখের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। আবার এর ব্যবহারে মুখের কালচে ভাব দূর হয়। আবার নিমপাতার পানি ব্রনের দাগ হালকা করে এবং ত্বককে সুন্দর ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
চর্ম রোগে নিম পাতার ব্যবহার
এক ধরনের মারাত্মক রোগ। আর চর্মরোগ বর্ষায় খুব হয়ে থাকে। এজন্য ত্বকে নিম ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের সংক্রমণের চিকিৎসা হলো নিমের পেস্ট প্রয়োগ করা। চর্মরোগ থেকে বাঁচতে চাইলে পরিষ্কার শুকনো জামা কাপড় পড়ুন এবং হাত পা কম ভেজান। নিমের রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। এন্টিব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যযুক্ত নিম সবসময় ত্বকের রোগে ব্যবহার হয়।
আপনাদের যদি চর্ম রোগের সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত নিম পাতার রস খান এবং দুই সপ্তাহে তিনবার চর্মরোগে আক্রান্ত স্থানে নিম পাতার পেস্ট লাগিয়ে রাখবেন। তাহলে চর্ম রোগ থেকে অতি তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবে। চর্ম রোগের সমস্যা একটি অস্বস্তির কারণ। চর্মরোগ দুটি কারণে হয়ে থাকে আবহাওয়া ও ধুলাবালি। সেজন্য নিজেকে পরিষ্কার রাখতে হবে।
চর্মরোগ থেকে রেহাই পেতে নিমের পরিষ্কার পাতা নিয়ে তা বেটে নিতে হবে। এই পেজটি আক্রান্ত স্থানে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চারবার আক্রান্ত স্থানগুলোতে লাগিয়ে রাখলে চর্মরোগ থেকে রেহাই পাবেন। এর পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে নিম পাতার রস সেবন করলে শরীরের ভেতর থেকে চর্মরোগ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
- যাদের চর্ম রোগের সমস্যা রয়েছে তারা চাইলে নিম পাতার পেস্ট এর মধ্যে কাঁচা হলুদ বাটা যুক্ত করতে পারে কাঁচা হল চর্ম রোগের জন্য খুবই কার্যকরী।
- আবার নিম পাতার বড়িও খেতে পারেন। নিম পাতার বড়ি খেলে পরিপূর্ণভাবে উপকার পাওয়া যায়। নিমপাতা চর্মরোগ দূর করার পাশাপাশি শরীরের সমস্ত রোগ দূর করে।
- আবার নিমপাতা রস করতে পারে। যদি নিম পাতার রস খেতে ভালো না লাগে তাহলে নিমপাতার সাথে মধু যুক্ত করে খেতে পারে।
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার এবং নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। চুলকানি একটি অস্বস্তিকর। কানিতে চুলকানিতে নিমপাতা ব্যবহার করে চুলকানি দূর করা সম্ভব। প্রাচীনকাল থেকে জেনে এসেছি নিম পাতার মধ্যে ঔষধি গুনাগুন থাকায় নিমপাতা দিয়ে অনেক রোগ নিরাময় করা যায়। চলুন জানা যাক নিম পাতার ব্যবহার।
- যাদের চোখে চুলকানির সমস্যা রয়েছে তারা নিমপাতার পানি ১০ মিনিট সেদ্ধ করে সে পানি ঠান্ডা করে। পানি আবার চোখে ঝাপটা দিন তাহলে চোখের চুলকানি ভালো হয়ে যাবে।
- আবার যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তারা যদি নিমপাতা পানি ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করে তাহলে তাদের এলার্জি সমস্যা ভালো হয়ে যাবে।
- আবার যাদের শরীরে চুলকানির ফলে বা জ্বালাপোড়া হয় তাদের জন্য নিমপাতা বেশ উপকারী।
- আবার যাদের মাথার ত্বকে চুলকানি সমস্যা রয়েছে তারা নিমপাতার রস মাথায় লাগালে চুলকানির সমস্যা কমে যাবে।
- যেখানে চুলকানি সমস্যা রয়েছে সেখানে বাটা নিমপাতা নিয়মিত লাগান । তাহলে চুলকানির সমস্যা ও চর্ম রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
নিমপাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
নিমপাতা ূর বহুদিন ধরে রূপচর্চার কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে হয়ে আসছে। নিমপাতা দিয়ে ত্বকের কালো দাগ দূর হয়। নিম পাতা ত্বকে মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। নিম পাতা বেটে লাগালে ব্রণের সমস্যা দূর হবে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বয়সের সাপ স্কিনের যদি না পড়তে দিতে চান তাহলে নিয়মিত নিম পাতা রস ত্বকে ব্যবহার করুন।
ত্বকের যত্ন নিতে নিম পাতা, পুদিনা পাতা, তুলসী পাতা একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এর সাথে একটু লেবুর রস মিশিয়ে একটি পেট তৈরি করতে করুন। আর যদি চান তাহলে এতে হলুদ গুড়া এর সাথে মেশাতে পারেন পারেন। সপ্তাহে দুই দিন এই প্যাকটি লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থাকলে সেটিও দূর হবে।
ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর করতে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে নিম পাতার ফেসপ্যাক। নিম পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিন এক ঘন্টা। এরপর নিম পাতা বেটে নিয়ে এরপর নিমের স্ট পেস্ট এক ঘণ্টা ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন তাহলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
নিমপাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা
আমাদের অনেকের শরীরে চুলকানি, এলার্জি, চর্মরোগ ইত্যাদির সমস্যা রয়েছে । নিম পাতা সিদ্ধ করে পানি দিয়ে গোসল করলে ঘা পচড়া চলে যায়। আবার পাতা বা ফুল বেটে শরীরে কয়েক দিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়ে যায়। পোকামাকড় কামড়ালে সেই ক্ষতস্থানে পাতা বেটে লাগালে ব্যথা উপশম হয়। আবার গরম পানিতে নিম পাতা ফুটিয়ে তা ঠান্ডা করে স্বাভাবিক পানির সঙ্গে মিশিয়ে গোসল করলে ত্বকের সংক্রমণ কমে যায়। খুশকি কমানোর ক্ষেত্রে এই নিম পানির ব্যবহার খুব উপকারী। নিমের চা ব্যবহার করলে পেটের নানা সমস্যা দূর হয়।
ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়
তোকে সৌন্দর্যতা নষ্ট করে ব্রণ। থেকে বাঁচতে কিছু উপায় অবলম্বন করা অতি জরুরী। বাজারের দামি ক্রিম ব্যবহারের পরিবর্তে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করুন। যা আপনার ব্রণ দূর করতে সাহায্য করবে। আর ঘরোয়া প্রাকৃতিক সামগ্রী সব থেকে ভালো উপাদান যার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তাহলে জেনে নেই ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়।
মুলতানি মাটি ও নিম পাতাঃ কয়েকটা নিম পাতা ধুয়ে পিছে নিন। এর মধ্যে 1 চামচ মুলতানি মাটি এবং অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটা মুখে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। শুকিয়ে এলে এটা ধুয়ে ফেলুন উপকার মিলে।
কাঁচা হলুদ ও চন্দন কাঠের গুঁড়োঃ কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুড়ো ব্রণের জন্য খুবই উপকারী উপাদান। কাঁচা হলুদ বাটা এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর যে স্থানে ব্রণ রয়েছে সেখানে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এরপর এটা শুকিয়ে গেলে মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক শুধুমাত্র ব্রণ দূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।
নিম পাতা ও চন্দন গুড়োঃ নিম পাতা বেটে এবং তার সাথে চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে লাগালে ব্রণের ব্যথা ও সংক্রমণ কমবে। নিমপাতা জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে।
শসার রসের ব্যবহারঃ ত্বকের যত্নে শসার উপকারিতা অনেক। শসা শুধু খেলে উপকার পাওয়া যায় না বরং এটি ত্বকে ব্যবহার করলেও দারুন উপকার পাওয়া যায়। শসার রস তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সাহায্য করে। শসা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
সরিষার তেল ও মধুঃ ব্রণ দূর করতে সরিষা ও মধুর মেলা ভার। সরিষায় প্রচুর পরিমাণে স্যালিসিলিক এসিড রয়েছে যা খুব সহজেই ব্রণের জীবাণুকে ধ্বংস করতে সক্ষম। সামান্য সরিষার গুঁড়োর সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগান। এরপর ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার ব্রণ দূর হওয়ার পাশাপাশি ব্রনের দাগও দূর হয়ে গেছে।
রসুনের রসঃ রসুনের রস ব্রন সারাতে কাজ করে। সামান্য পরিমাণে রসুনের রস ব্রণের ওপর দিয়ে রাখুন। এরপর শুকিয়ে গেলে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। রসুনের ঝাঁজ ব্রনের চুলকানি দূর করে এবং ব্রণের জীবাণু চিরতরে ধ্বংস করে।
ডিমের সাদা অংশঃ মুখের যেখানে যেখানে ব্রণ রয়েছে সেখানে লেবুর রস দিন। এবার পুরো মুখে ডিমের সাদা অংশ মাক্স এর মত লাগান। বিশ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্রণ দূর করার পাশাপাশি মুখের কালো দূর করবে।
কাঁচা হলুদ আর মধু খেলে কি হয়
কাঁচা হলুদের ব্যবহার আদিকাল থেকে হয়ে আসছে। রান্নায় হলুদের ব্যবহার তো হয়ে আসছে বহুকাল থেকে। হলুদ কেবল রান্নার স্বাদ বাড়ায় না এটি আমাদের অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেয়। অপরদিকে মধু ও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান। যদি প্রতিদিন কাঁচা হলুদ ও মধু একসাথে পান করা হয় তাহলে অনেক রোগ থেকে পাওয়া যাবে।
জ্বর, সর্দি, কাশি হলে টেবিল চামচ কাঁচা হলুদের রস এবং চোগ্রাম মধু নিন। এটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে পান করুন এক ঘন্টা পর পর। তাহলে সর্দি কাশি থেকে রেহাই মিলবে। প্রতিদিন দুবার হলুদ মধু খেলে উল্লেখিত রোগ গুলো থেকে মুক্তি মিলে। চিকিৎসকেরা বলেন এই মিশ্রণটি অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে।
হলুদ ও মধুর মিশ্রণটি নিয়মিত খেতে পারলে প্রচুর উপকার লাভ করা যায়। হলুদের মধ্যে রয়েছে এমন উপাদান তা গ্যাস্ট্রি, পেপটিক, গ্যাস্ট্রিক আলসার ইত্যাদির জন্য খুবই উপকারী। আবার লিভারের সমস্যা থাকলে এই হলুদ মধুর মিশ্রণটি খেতে পারেন।
সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে কি হয়
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গোয়া কাঁচা হলুদ খান দূরে থাকবে যাবতীয় রোগ। খালি পেটে এক কোয়া কাঁচা হলুদ খাওয়া তন্ত উপকারী। কেননা কাঁচা হলুদের রয়েছে কারকিউমিন। যা শরীরের রোগের প্রবণতা কমায়। এর পাশাপাশি রক্ত চলাচল বাড়ায়। কাঁচা হলুদের রয়েছে জীবানুনাশক গুণ। এজন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে এর ফল পাবেন তাড়াতাড়ি।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খেলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যার উপকার মিলে।নিয়মিত ওষুধ খাবার ফলে হার্টের ব্লকেজ দূর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। কাঁচা হলুদ সুগার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। কাঁচা হলুদ আবার মেদ কমাতেও সাহায্য করে। কাঁচা হলুদ নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ থাকবে।
- হলুদে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা রক্তে আয়রনের পরিমাণ হ্রাস পেলে তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য।
- দীর্ঘদিনের কোলেস্টেরলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ।
- রক্তে শর্করার মাত্রাকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- কাঁচা হলুদ খাওয়ার ফলে হাড়ের ক্ষয় রোধ হয়।
- কাঁচা হলুদ হজম শক্তি বাড়িয়ে খাবার পরিপাকে সাহায্য করে।
- হলুদের থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দাঁতকে জীবাণু সংক্রমণ থেকে মুক্ত রাখে। এবং দাঁতের মাড়িকে মজবুত করে।
শেষ মন্তব্য
কাঁচা হলুদ ও নিমপাতা উপকারিতা এবং নিমপাতার বড়ির সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এ পর্যন্ত আমরা কাঁচা হলুদের উপকারিতা এবং নিম পাতার ব্যবহার ও নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ ব্যবহারের ফলে কি কি উপকার পাওয়া যায় এ বিষয়ে আজচির আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। কাঁচা হলুদ ও নিম পাতা ব্যবহারে আমি উপকার পেয়েছি তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
হলুদ ও নিম পাতা উপকারিতা অনেক যা বলে শেষ করা যায় না। নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ খাওয়ার ফলে অনেক রোগ থেকে রেহাই মিলে। তাই আপনারা হলুদ ও নিমপাতার ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রিয় পাঠক এ আর্টিকেল পড়ে আপনারা যদি উপকৃত হন তাহলে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url