কাঁচা বেল এবং পাকা বেলের উপকারিতা - বেলের শরবত খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা বেল এবং পাকা বেলের উপকারিতা ও শরবত খাওয়ার উপকারিতা উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। গরমের সময় শরীরকে আরামদায়ক করতে বেলের শরবত খান। এটি খেতে অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। 

শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত বেল খেতে পারেন। বেল খাওয়ার ফলে রোগ বালাই থেকে অনেকটাই বেঁচে থাকা যাবে।  তাহলে চলুন আজকেরে আর্টিকেল থেকে জেনে নিই কাঁচা বেল ও পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কাঁচা বেল এবং পাকা বেলের উপকারিতা

কাঁচা বেল এবং পাকা বেলের উপকারিতা

কাঁচা বের এবং পাকা বেলের উপকারিতা অনেক।  গরমের সময় পিপাসা মেটানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের ফলে জোস খেয়ে থাকি। এই ফলটি সবথেকে আলাদা। বেল একটি পুষ্টিকর ফল। নিয়মিত বেল খাওয়ার ফলে আপনি থাকবেন সুস্থ। এটি কাঁচাপাকা অবস্থায় খাওয়া যায়। তাহলে চলুন জেনে নেই কাঁচা বেলের উপকারিতা সম্পর্কে। 

  • হজমের সমস্যা দূরে দূর করেঃ আপনারা অনেকে রয়েছেন যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন প্রতিনিয়ত। আপনারা যদি নিয়মিত বেল খান তাহলে উপকার পাবেন। কাঁচা বেল হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। কেননা কাঁচা বেলের উপকারিতা অনেক।
  • পেটের সমস্যা দূর করেঃ পেটের সমস্যা দূর করতে কাঁচা বেলের অনেক উপকারিতা। কেননা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কাঁচা বেল পেটের জন্য খুবই উপকারী।
  • ডায়রিয়া দূর করতে সাহায্য করেঃ কাঁচা বেল ডায়রিয়া রোগীদের জন্য একটি ঔষধ। আপনার যদি ডায়রিয়ার সমস্যা থেকে থাকে অনেক দিন ধরে তাহলে আপনি বেল খেতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কাঁচা বেল কেটে নিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর এগুলো করে নিন। এবার বেলের গুঁড়ো এবং চিনি গরম পানিতে মিশিয়ে খেয়ে নিন। এটি এক সপ্তাহ খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
  • আলসারের সমস্যা দূর করেঃ যাদের আলসারের সমস্যা রয়েছে কাঁচা কচি বেল খেতে পারেন। কাঁচা বেল রান্না করে খাওয়ার ফলে আনসারের সমস্যা থেকে রেহাই মিলে।
  • আমাশয়, পেট ফাঁপা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করেঃ যাদের আমাশয়, পেট ফাঁপা বা গ্যাস্টিকের সমস্যা রয়েছে তারা তারা কাঁচা বেলের তৈরি করা বেলশুট সেদ্ধ করে পানিসহ খেতে পারেন।
পাকা বেলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ প্রচুর। কেননা বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। পাকা বেল খেতে যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি পাকা বেলের শরবত খেতে অনেক সুস্বাদু। চলুন জেনে নেওয়া যাক পাকা বেলের উপকারিতা সম্পর্কে। 
  • ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা কমায়ঃ নিয়মিত বেল খাওয়ার ফলে বিভিন্ন রকমের ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেমন - স্তন ক্যান্সার, ইউরেটা ও কোলন ক্যান্সার।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ ফাঁকা বেল খাওয়ার ফলে কষ্ট কাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। আপনাদের মধ্যে যদি কেউ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হবে তাহলে আপনি বেল খেতে পারেন।
  • আলসার রোধেঃ আলসার রোধে পাকা বেলার উপকারিতা রয়েছে। কেননা পাকা বেলের পাশে থাকা ফাইবার যা আলসার রোধে বিশেষভাবে কাজ করে। এজন্য আপনি যদি বেলের শরবত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন তাহলে অনেক অসুখ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে। 
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ পাকা বেলের ভূমিকা অনেক। পাকা বেলে থাকা মেথানল ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। আবার এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে।
  • ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণেঃ বেলের শরবত খাওয়ার ফলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে বেল। পাকা বেল শরবত বা এমনিতেও খেতে পারেন যাতে করে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করেঃ বেল খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বেলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন সি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ বেলে প্রচুর পরিমাণে আজ থাকার কারণে ত্বকের জন্য বেল খুবই উপকারী। আর নিয়মিত বেল খাওয়ার ফলে যেমন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আর ত্বককে সাহায্য করে। আবার এটি ত্বক থেকে ব্রণের সমস্যা দূর করে।

বেলের শরবত খাওয়ার উপকারিতা

বেলের শরবত খাওয়ার উপকারিতা অনেক। গরমের সময় শরীরকে ঠান্ডা করতে খেতে পারেন বেলের শরবত। শরীরের ক্লান্তি দূর করতে বেলের শরবত অধিক কার্যকারী। বেল বেল পুষ্টিগুণে ভরা একটি ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়। 

বেলের শরবত খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। বেলের শরবত শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি মন কেউ ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাহলে চলুন জেনে নেই নিয়মিত শরবত খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
  • এটি পাকস্থলী এবং হজমের জন্য খুবই উপকারী।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
  • বেলের শরবত শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূরে রাখতে সাহায্য করে।
  • বেলের শরবত হাড়ের জন্য খুবই উপকারী। মজবুত রাখতে সাহায্য করে। কেননা এতে থাকা ক্যালসিয়াম এর মাত্রা শারীরিক গঠন মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
  • বেলের শরবত খাওয়ার ফলে শরীর শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
  • বেলে রয়েছে ভিটামিন বি টু। যা শারীরিক বিকাশে সাহায্য করে এবং এতে থাকা পুষ্টিগুণ লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে। যার ফলে রক্ত বৃদ্ধি হতে থাকে।
  • ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসজনিত সংক্রমণ এড়াতে বেলের শরবত খুবই উপকারী।
  • রক্তের কোলেস্ট্রলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত শরবত খাওয়া খুবই উপকারী।
  • বেলের শরবত খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের ছোঁয়াচে রোগ থেকে মুক্তি মেলে।
  • বেলের শরবত খাওয়া পাকস্থলী জন্য খুবই উপকারী। কেননা বেলের ভেতরে অংশটি পিচ্ছিল ও শাঁস জাতীয়।
  • বেলে থাকা ভিটামিন এ চোখের পুষ্টি যোগায় ও চোখের সুরক্ষায় কাজ করে।
  • বিভিন্ন ইন্টারনাল রোগ যেমনঃ পাইলস, হেমোরয়েড রোগীরা প্রতিদিন শরবত নিয়ম করে খেতে পারে। তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।
  • ব্রণের সমস্যা মেটাতে পারে এক গ্লাস ব্যালেন্স শরবত।
  • পরিশ্রমের পরে একগ্লাস বেলের শরবত খেলে সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয়।
  • বালের শরবত খাওয়ার ফলে জন্ডিস কমে আসে।

খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন। া আমাদের অনেকের ধারণা রয়েছে যে খালি পেটে ফল খেলে এসিডিটিভ হতে পারে। কিন্তু এ কথাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। বিভিন্ন গবেষণাতে রয়েছে ফল খেলে শরীরে ভারসাম্য ঠিক হতে শুরু করে।  আর আর পেলে থাকা খাইবার হজমের সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। জেনে নেই খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা।
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • হজমের সমস্যা দূর করে। 
  • এসিডিটির সমস্যা দূর করে।
  • কষ্ট কাঠিন্য দূর করে।
  • হার্টের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখে।
  • ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে।

গর্ভাবস্থায় বেলের শরবত খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় বেলের শরবত খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। গর্ভাবস্থায় সবকিছু খেতে পারে না। ক্রান্তি দূর করতে সাহায্য করে বেলের শরবত। রয়েছে পানি, প্রোটিন, স্নেহ পদার্থ, শর্করা, ক্যারোটিন, থায়ামিন এবং টারটারিক অ্যাসিড ইত্যাদি। তাহলে চলুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

প্রতিটি মানুষের দেহে রক্তের মাধ্যমে পুষ্টিগুণ পরিবাহিত হয়। সেজন্য রক্ত পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরী। গর্ভাবস্থায় বেল খেলে গর্ভবতীর শরীরে রক্ত খুব দ্রুত প্রভাবিত এবং শুদ্ধ হয়। পাকা বেলের সাথে চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন এতে করে আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর হবে। এর সাথে সাথে কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। 

অনেক গর্ভবতী মহিলাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে। তাদের জন্য পাকা বেল খুবই উপকারী। পাকা কাঁচা বেল খাওয়ার নিয়মবেলে রয়েছে ম্যাথানল। যা ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে। বেলের শরবত খাওয়া থেকে শুধু বেল খাওয়া উত্তম। এর ফলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাবেন। এতে করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে। এছাড়া গর্ভের বাচ্চার বুদ্ধি এবং বিকাশে কার্যকরী বেল।

বেল পাতার উপকারিতা

বেল পাতার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। বেল পাতা আমাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে। যাদের ঘামের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন বেলপাতা রস নিয়ম নিয়ম করে ঘাম থেকে হওয়া দুর্গন্ধ দূরীভূত হয়। তাহলে চলুন জেনে নেই বেলপাতার আরো উপকারিতা সম্পর্কে।
  • বেলপাতা রস পেটের নানা ধরনের সমস্যা দূর করে।
  • বেল পাতা রস খালি পেটে খাওয়ার ফলে বার্ধক্য পড়া থেকে দূরে রাখে।
  • বেল পাতা খাওয়ার ফলে দেহের সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • বেলপাতার রস খাওয়ার ফলে শরীরে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে।
  • এসিডিটির সমস্যা খেতে পারেন বেলপাতা।
  • বদহজমের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চিবিয়ে খেতে পারেন বেলপাতা

কাঁচা বেল খাওয়ার নিয়ম

কাঁচা বেল খাওয়ার নিয়ম নিয়ে কথা বলবো। কাঁচা বেল আপনি অনেক ভাবেই খেতে পারেন। শরবত বানিও খেতে পারেন অথবা কোন রোগের ঔষধ হিসেবে এটির পাউডার পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। পাকা বেলের শরবতের মতো আপনি কাঁচা বেলেরও সরবত বানিয়ে খেতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা বেল খাওয়ার নিয়ম এর ব্যাপারে।

গরমের সময়ে আপনি কাঁচা পেলে শরবত খেতে পারেন। এর অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। কাঁচা বেলের শরবত বানানোর নিয়ম হলো। কাঁচা বেলকে প্রথমে গরম পানিতে সিদ্ধ করে নিবেন। যখন এর ফ্লেভারটা পাকা বেলের মতো হয়ে আসবে তখন বেলটি নামিয়ে নিবেন। এরপর যেভাবে পাকা বেলের শরবত বানান ঠিক তেমনি ভাবে কাঁচা পেলে শরবত বানিয়ে নিন।

এ দেখে তো অনেক সুস্বাদু এবং শরীর থাকবে চাঙ্গা। যাদের ম্যালেরিয়া রয়েছে তারা কাঁচা বেল টুকরো টুকরো করে নিয়ে রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে নিন। বেলের গুড়োর সাথে তুলসীর রস ও মধু মিশিয়ে নিন নিয়ে দিনে দুইবার খান তাহলে ম্যালেরিয়া রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ডায়রিয়া রোগেও কাঁচা বেলের উপকারিতা অনেক।

পাকা বেল খাওয়ার নিয়ম

পাকা বেল খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন। বেল অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। যার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সাধারণত আমরা গ্রীষ্মকালে বেলের শরবত বেশি বেশি খেয়ে থাকি। এর ফলের ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। কিন্তু আমাদের অনেকেরই অজানা বেলের শরবত কখন খেতে হয়। তাহলে চলুন জেনে নেই পাকা বেল খাওয়ার নিয়ম।

প্রথমে পাকা বেলকে ধুয়ে ফাটিয়ে নিন। এবং একটি পাত্রের মধ্যে বেলের মাংসল পানির সাথে মিশিয়ে ভালো করে মিশ্রণ করে নিন। এর ফলে মাংসল অংশ পানিতে মিশে গিয়ে শরবত তৈরি হয়ে যাবে।এরপর একটি ছাঁকনির সাহায্যে বেলের শরবত ছেঁকে নেই। এতে করে বেলের। বিচি এবং শাঁস আলাদা হয়ে যাবে।

এবার আপনি বেলের শরবতের সাথে চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার বেলে শরবতের স্বাদ বাড়ানোর জন্য এতে মধু বা বরফ কিউব দিয়ে ঠান্ডা করে খেতে পারেন। আপনি পাকা বেল খাওয়ার এ নিয়মটি অনুসরণ করলে বেলের পুষ্টিকর উপকারিতা পাবেন। বেলের শরবত গরমের দিনে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং এর পাশাপাশি হজমেও সাহায্য করে।

আমাশয়ে বেলের উপকারিতা

আমাশয়ে বেলের উপকারিতা অনেক। বেল মানব দেহের অনেক উপকারিতা করে আসছে। মানুষের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা যেমনঃ কষ্টকাঠিন্য, হজমের সমস্যা, পাকস্থলী সমস্যা, ডায়াবেটিসের সমস্যা ইত্যাদি দূর করছে। যাদের মল কঠিন তারা যদি বেলের শরবত বানিয়ে খায় তাহলে তাদের মলের সমস্যা দূর হবে।

যাদের আমাশয় হয় বা ডায়রিয়ার সমস্যা রয়েছে।তারা যদি নিয়ম করে টানা তিন মাস বেলের শরবত খায় তাহলে তাদের সমস্যা কমে আসবে। ডায়রিয়া বা আমাশয় রোগীদের জন্য বেল খুবই উপকারী একটি উপাদান। খাওয়ার ফলে শরীরের ভেতরের অনেক সমস্যা সেরে যায়। তাহলে আর দেরি না করে আজ থেকে বেল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তেল খাওয়ার উপকার িতা খাওয়ার উপকারিতা

বেল খাওয়ার অপকারিতা

সব কিছুরই ভালো এবং খারাপ দিক রয়েছে। তবে কোন কিছু অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের পক্ষে ঠিক নয়। অতিরিক্ত পাকা বেল খাওয়ার ফলে অন্ত্রের ছিদ্র হতে পারে। তবে কাঁচা খাওয়ার ফলে এই অসুবিধা হয় না। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেটের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। পাতলা পায়খানাও হতে পারে।আবার যদি আপনি প্রতিদিন বেল খাওয়ার ফলে কোনো অসুবিধায় পড়েন তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সম্মুখীন হন। এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বেল খান।  

পরিশেষে

আজকের এ আর্টিকেল থেকে আমরা জেনে নিলাম কাঁচা বেল এবং পাকা বেলের উপকারিতা ও পাকা এবং কাঁচা বেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আবার গর্ভাবস্থায় বেল খেলে কি হয় সেই বিষয়ে। কাঁচা ও পাকা বেল উভয়ই খুব পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি ফল। এটি খাওয়ার ফলে শরীর থাকে ঠান্ডা ও সুস্থ। আবার এটি বিভিন্ন ধরনের কষ্টকাঠিন্য দূর করে থাকে।

আজকে বেলের নানা ধরনের উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে। প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন।  আর লাইফস্টাইল বিষয়ক তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url