ডুমুর খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও ডুমুর খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে

ডুমুর খাওয়ার ২০ টি  উপকারিতা ও ডুমুর খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে এবং কাঁচা ডুমুর খেলে কি হয় সে সম্পর্কে জেনে নিন। ডুমুর ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ বিদ্যমান। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।





ডুমুর কাঁচা ও শুকনো উভয় ভাবেই খাওয়া যায়। ডুমুর খুবই উচ্চমানের ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। এটি আপনাদের প্রতিদিনের খাদ্যের তালিকায় ডুমুর রাখার চেষ্টা করুন।  


পোস্ট সচিপত্রঃ ডুমুর খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে

ডুমুর খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা

ডুমুর খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। ডুমুর ফল ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার জন্য সুস্থ থাকার জন্য আমাদের প্রচুর শাক-সবজি খেতে বলা হয়। এর পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় গুরুত্বপূর্অ শুকনো ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
রক্তের শর্করার মাত্রা বজায় রাখা সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্য। এজন্য ডুমুর আপনাকে সাহায্য করবে ডুমুরে এমন উপাদান রয়েছে যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে। 
হাড় শক্তিশালী করতে
শরীরের যত্নের পাশাপাশি আমাদের হাড়ের যত্নেরও প্রয়োজন। তো সেজন্য ডুমুর খাওয়া অত্যাবশ্য।ডুমুর খেলে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির সরবরাহ করে। যা হারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডুমুর খাওয়ার ফলে হাড় শক্তিশালী ও মজবুত হয়ে ওঠে। আর ক্যালসিয়াম উপাদান হার সম্পর্কিত অসুস্থতা থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে চান তাহলে ডুমুর আপনাকে উপকার দিবে।  ডুমুরের ফাইবার উপাদান স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্র বজায় রাখে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডুমুর খাওয়ার ফলে দীর্ঘসময় পেট ভরা থাকে এই কারণে ঘন ঘন খাবার খাওয়ার অভ্যাস কমে যাবে। এর ফলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।


হৃদপিণ্ডের জন্য উপযুক্ত পুষ্টি সম্পন্ন খাদ্য 
হৃদপিন্ডের জন্য উপযুক্ত পুষ্টি সম্পন্ন খাদ্য হলো ডুমুর। ডুমুর রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ হ্রাস করে। ট্রাই গ্লিসারাই হৃদরোগের জন্য দায়ী কারণ তারা রক্তনালীর মধ্যে জমাত সৃষ্টি করে যার ফলে হার্ট এটাকে সৃষ্টি হয়ে থাকে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে
ক্যান্সার প্রতিরোধে ডুমুর ভালো কাজ করে। ডুমুর এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় রেডিকেল এবং ক্রনিক প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রেডিকেল ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসহ দীর্ঘস্থায়ী রোগের জন্য দায়ী। ডুমুর দীর্ঘস্থায়ী রোগের একটি প্রতিরোধক হিসেবে গণ্য করা হয়।
কষ্ট কাঠিন্য প্রতিরোধক হিসেবে
কষ্টকাঠিন্য প্রতিরোধক হিসেবে ডুমুরের উপকারিতা অপরিসীম।  ফাইবার সমৃদ্ধ ডুমুর অন্তরের গতিশীলতার জন্য ভালো এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
প্রজনন ব্যবস্থাকে সচল রাখতে সাহায্য করে
প্রজনন ব্যবস্থাকে সচ্ছল রাখতে সাহায্য করে এই ডুমুর। ডুমুর ম্যাগনেসিয়াম, দস্তা এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ সমৃদ্ধ হয়। যা প্রাণবন্ততা এবং উর্বরতা বজায় রাখতে অবদান রাখে। আপনাদের প্রতিদিনের ডায়েটে এই ফল রাখা আবশ্যক।
কিডনির পাথর প্রতিরোধে
কিডনির পাথর প্রতিরোধেও ডুমুরের ভূমিকা রয়েছে। কিছু ডুমুর পানিতে ফুটিয়ে নিন কিছুদিন ধরে পান করুন। এই পানি কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
 হজমে সহায়তা করে
ডুমুর হজমে সহায়তা করে। পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করে হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এ ডুমুর । ডুমুর ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
হিমোগ্লোবিন ঠিক রাখতে
হিমোগ্লোবিন ঠিক রাখতে সাহায্য করে ডুমর। যেহেতু ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে সেহেতু আয়রন কমে গেলে আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। যার ফলে এটা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে। তাই নিয়মিত ডুমুর খেলে শরীরে আয়রনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে।
ত্বকের ক্ষেত্রে
ত্বকের জন্য খুবই উপকারী উপাদান হলো এই ডুমুর। ডুমুরের বিভিন্ন ঔষধি গুন আছে। যা বলে প্রকাশ করা যায় না। মুখে ব্রণ বের হলে সেখানে ডুমুরের পেস্ট লাগিয়ে দিলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। 
অতিরিক্তির হেচঁকি ক্ষেত্রে
অতিরিক্ত হেচঁকি  ক্ষেত্রে ডুমুরের ব্যবহার রয়েছে। অতিরিক্ত হেচঁকি উঠলে ডুমুরের বাইরের অংশ কেটে পানিতে এক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।  তারপর ওই পানি থেকে এক চামচ করে খেলে হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে
ক্ষুধামন্দা রোগের ক্ষেত্রে
ক্ষুধা মন্দ রোগের ক্ষেত্রে ডুমুরের উপকারিতা অনেক। এক চা চামচ কাঁচা ডুমুরের রস খাওয়ার পর খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ক্ষুধা মন্দা রোগের ক্ষেত্রে ডুমুরের রস খুবই উপকারী উপাদান। রোগ থেকে আরোগ্য দেবে। 
অ্যানিমিয়ার ক্ষেত্রে
অ্যানিমিয়ার ক্ষেত্রেও ডুমুর খুবই উপকারী। শরীরে প্রয়োজনীয় রক্তের অভাব। দ্রুত এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ডুমুর খাওয়া অত্যাবশ্য। শুকনো ডুমুরে প্রচুর আয়রন থাকে। যাদের অ্যানিমিয়ার সমস্যা রয়েছে তারা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ডুমুর খান। তাহলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
চুলের বৃদ্ধিতে
চুলের বৃদ্ধিতে ম্যাগনেসিয়ামের উপকারিতা অনেক। ম্যাগনেসিয়াম,  ভিটামিন সি,  ভিটামিন ই চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ডুমরে থাকা এই পুষ্টি উপাদানগুলি মাথার চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। ফলে চুলের গোড়া মজবুত এবং চুল পড়া বন্ধ হয়। 
অনিদ্রা দূর করতে
অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করে এই ডুমুর। মেলাটোনিন এর নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে ডুমুর।আমাদের মনে রাখতে হবে  মেলাটোনিন একটি হরমোন। যা আমাদের নিদ্রাচক্র স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে অনিদ্রার মতো রোগ থেকে বাঁচা যায়।
 শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ডুমুরের উপাদান রয়েছে। উপযুক্ত মাত্রায় আয়রন ও পটাশিয়াম থাকার কারণে নিয়মিত ডুমুর খেলে স্ট্যামিনা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যে সকল ব্যক্তি শারীরিকভাবে দুর্বল এবং এনার্জির অভাব রয়েছে তাদের উচিত প্রতিদিন এক গ্লাস দুধে একটি করে ডুমুর ফুটিয়ে প্রতিদিন সকালে খাওয়া।
মহিলাদের ভ্রুণের ক্ষেত্রে
গর্ভবতী মহিলাদের ব্রণের বিকাশের ক্ষেত্রে কার্যকর এই ডুমুর। গর্ভবতী মহিলারা ডুমুর খেতে পারবেন। কেননা এর রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ। ভ্রূণের বিকাশের জন্য ডুমুর খুব কার্যকারী। তাছাড়া এটি মায়ের হারের জোড় বাড়াতে কার্যকারী একটি ফল। আবার আয়রন থাকার কারণে রক্তস্বল্পতা রোধ করে এটি।
এন্টি অক্সিডেন্ট
ডুমুর ফ্রি রেডিক্যাল এর বিরুদ্ধে শরীরে প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করে। এটি পলিফেনল নামক এন্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা আপনার শরীরে টিস্যু গুলোকে ক্ষতি হতে রক্ষা করে । এর সাথে সাথে উজ্জ্বল করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।
টিউমার প্রতিরোধে
টিউমার প্রতিরোধে ডুমুরের উপকারিতা। ডুমুরে রয়েছে ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম ও ক্যালরি। ডুমুর টিউমার ও অন্যান্য অস্বাভাবিক শারীরিক কোষীয় বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।
ফোড়া পাকাতে সাহায্য করে
ফোড়া পাকাতে ডুমুর সাহায্য করে। ডুমুর দুধের সাথে সিদ্ধ করে ফোড়ার ওপর প্রলেপ লাগালে শরীরের ফোড়া পেকে যায়। ফলে দ্রুত ফোড়ার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

ডুমুর খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে

ডুমুর খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি এর অপকারিতা ও রয়েছে। অতিমাত্রায় কোন কিছু খাওয়া ভালো নয়। ডুমুরের যেমন ভালো গুণ রয়েছে ঠিক তেমনি খারাপগুলো রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডুমুর খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে।

  • ডুমুর অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেটে ব্যথা হতে পারে।
  • ডুমুরের আঠা হাতে লাগলে যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • ডুমুর খেলে ডায়রিয়া হতে পারে কেননা এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে।
  • ডুমুর যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে। ঠিক তেমনি একটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • ডুমুর এক ধরনের প্রাকৃতিক চিনি হিসেবে কাজ করে যা বেশি খাওয়ার ফলে দাঁত পচে যেতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খাবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
  • আবার কিছু লোকের ডুমুর খেলে এলার্জি সমস্যা হতে পারে।
  • অতিরিক্ত ডুমুর হজম জনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে ফলে এজন্য পেটে ব্যথার সৃষ্টি হয়।
  • অতিরিক্ত ডুমুর খেলে শরীরের তাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • অতিরিক্ত ডুমুর খেলে শরীরের রক্ত পাতলা হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
  • এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা অনেক জরুরী।
  • অতিরিক্ত ডুমুর খাওয়ার ফলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

ডুমুর খেলে কি হয় 

ডুমুর খেলে কি হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা। ডুমুর খেলে কি হয় সে সম্পর্কে আমরা জানবো ডুমুর বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। কাঁচা, পাকা, শুকনো তিন ভাবে খাওয়া যায়। আবার এটা খালি পেটে খেলে এর উপকারিতা রয়েছে। ডুমুর ফল কাঁচা অবস্থায় খেলে তার উপকারিতা অনেক। আবার ডুমুর রান্না করে খাওয়া যায়। এরও উপকারিতা অনেক ।

ডুমুরে এমন উপাদান রয়েছে যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে। ডুমুর থেকে যোগ হওয়া ফাইবার রক্তে শর্করার ভালো ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখে। হারের যত্নে ডুমুর বেশ কার্যকর। ডুমুর খেলে তা ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির সরবরাহ করে যা হাড়ের শক্তি বাড়িয়ে তোলে।

কাঁচা ডুমুর খেলে কি হয় 

কাঁচা ডুমুর খেলে কি হয় সে বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করব। ডুমুর ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি ফল।ডুমুর ফল কাঁচা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। আবার ডুমুর ফল পাকলেও খেতে অনেক মজা লাগে। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় আজকাল থেকে ডুমুরের পাত, কাঁচা ও পাকা ফল, নির্যাস, বাকল, মূল প্রভৃতি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হাড়ের গঠন মজবুত করা এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করাও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ডুমুরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ডুমুর রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ইনসুলিন মিশন বাড়াতে সাহায্য করে।

শুকনো ডুমুর খেলে কি হয়

শুকনো ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক। শুকনো ডুমুরের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন কে এবং ভিটামিন বি৬। এছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রীরেডিক্যাল এর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি অনেক ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমায়।

আবার শুকনো ডুমুরে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে। তাই খুব বেশি পরিমাণে এই ফল খেলে রক্তের শর্করার মাত্রায় হঠাৎ পরিবর্তন আসতে পারে যা ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

শুকনো ডুমুর খাওয়ার নিয়ম

শুকনো ডুমুর খাওয়ার ফলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। ডুমুর একটি শুকনো ফল। এটি বিভিন্ন অবস্থাতে খাওয়া যায়। শুকনো ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। কেটে খাওয়া যায় এছাড়া এতে অন্য কোন খাবার যোগ করা যায়। ডুমুরের পুষ্টিগুণ বা উপকারিতার কথা বলে আমরা শেষ করতে পারবো না।

এই শুকনো ডুমুর এন্টি অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। আপনি যদি এর থেকে আরও বেশি উপকার পেতে চান তাহলে এক কাপ পানিতে ১-২ টি ডুমুর ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খালি পেটে খান। তাহলে ভালো পুষ্টিগুণ গ্রহণ করতে পারবেন।

ডুমুর কাদের খাওয়া উচিত নয়

তোমার কাতার খাওয়া উচিত উচিত নয় সে বিষয়ে জানব। ডুমুর কাদের খাওয়া উচিত নয় এমন ব্যক্তিদের যাদের ডুমুর খাওয়ার ফলে সমস্যা দেখা দেয়। ডুমুরে শর্করার পরিমাণ অত্যাধিক থাকে এর ফলে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের সুগার লেভেল বেড়ে যায় এজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের ডুমুর খাওয়া উচিত নয়। আবার যাদের ডুমুরের আঠাতে এলার্জি সমস্যা রয়েছে বা খাওয়াতে এলার্জির সময় রয়েছে এদের ক্ষেত্রে ডুমুর  এড়িয়ে চলা উচিত। 

ডুমুর পাতার উপকারিতা

ডুমুরের যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি ডুমুর পাতার উপকারিতা রয়েছে। ডুমুর পাতা এন্টি-এজিং গুনে পরিপূর্ণ। ডুমুর পাতা আন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় আপনার মুখে ব্রণ এর দাগ এবং যেকোনো রকম দাগ হওয়া থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। ডুমুর পাতায় এমন একটি পদার্থ বিদ্যমান থাকে যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে উপকার করে।


ডুমুর পাতার অসাধারণ উপকারিতা রয়েছে। আপনারা জানলে অবাক হবেন। ডুমুর স্বাস্থ্যকরী ফল। এই ফল খেলে শরীরের একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। কিন্তু আপনারা যখন ডুমুর খান তখন ডুমুরের পাতা ফেলে দেন তখন আপনারা অনেক বড় ভুল করে ফেলেন। চলুন আজ আপনাদের অর্জুন পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো।
  • শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে।
  • ডুমুর পাতার চা পান করার ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • ডুমুর পাতার বাচ্চা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী যারা ডায়াবেটিস চালাতে সাহায্য করে
  • ঝুঁকি কমাতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেসাহায্য করে।
  • আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
  • মুখে যে কোন দাগ এবং ব্রণের দাগ থেকে রক্ষা করে।
  • এটি হারকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
  • এটি হারের ঘনত্ব উন্নত করে।
  • ডুমুর পাতা খাওয়ার ফলে মারাত্মক রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসে।

ডুমুরের পুষ্টিগুণ 

ডুমুর ফলের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এই ডুমুর কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করাসহ এজমা , ডায়াবেটিস ও অনেক জটিল রোগ প্রতিরোধ করে। চোখ ও ত্বকের যত্নে ডুমুর খুব উপকারী ফল। ডুমুরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য শক্তি, ভিটামিন, বি, শরকরা, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও আয়রন। ডুমুরে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। 

  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ডুমর।
  •  ডুমুরে থাকা ফেনোলিক ও এন্টি অক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
  • ডুমুরে প্রচুর আঁশ থাকে যা হজম সহায়ক এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • ইউরিন এর মাধ্যমে যাদের শরীর থেকে ক্যালসিয়াম বের হয়ে যায় তাদের জন্য ডুমুর বেশ উপকারী ফল। 
  • ডুমুরে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম যা আমাদের হার গড়ে তোলে এবং মজবুত করার জন্য খুব জরুরী।
  • ডুমুর খেলে হাড়ের রোগ অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমে। এতে থাকা ফসফরাস ভূমিকা পালন করে। 
  • ডুমুরে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেল সমৃদ্ধ বলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বারাই ডুমর।
  •  দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে পুকুরের অবদান অনেক। কেননা বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের চোখে যে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন দৃষ্টিহীনতা দেখা দেয় তা দূর করতে কিছু ফল বেশ উপকারী। এ সময় ডুমুর খেলে দৃষ্টিশক্তি ঠিক থাকে।
  • পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকে বলে শরীরে ইনসুলিন নিঃসরণ স্থিতিশীল রাখে ডুমুর। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • ডুমরে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ব্রংকাইটিস এজমার মত শ্বাস-প্রসার জনিত কিছু রোগ দূর করতে পারে বলে অনেক ডাক্তার এই ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

শেষ মন্তব্য

ডুমুর খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও ডুমুর খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে এ পর্যন্ত অনেক তথ্য দেওয়া হয়েছে। এখানে রয়েছে ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা এবং এর গুনাগুন এর ব্যাপারে যা আমাদের জীবনে অত্যন্ত জরুরী। ডুমুর খাওয়ার ফলে অনেক কষ্ট কাঠিন্য এবং রক্ষা পাওয়া যায়। নিয়মিত সেবনে আমরা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি।

প্রিয় পাঠক ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করেছি। যদি আপনারা এই পোস্ট পড়ে উপকৃত হন বা আপনাদের ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনাদের পরিচিত মানুষের সাথে শেয়ার করে দিবেন ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url