অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম ও অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা
আপনারা কি জানেন অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম ও অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা সম্পর্কে। অর্জুন গাছের ছাল সম্পর্কে হয়তো আপনার অনেক তথ্য জেনেছেন কিন্তু সঠিকভাবে সব তথ্য পাননি।
তাহলে এই পোস্টটি পড়ুন। আপনি এখানে অর্জুন গাছের ছাল সম্পর্কে সকল তথ্য পাবেন। অর্জুন গাছের ছাল খুবই উপকারী একটি উপাদান। অর্জুন গাছের খাওয়ার ফলে অনেক সমস্যা দূর হচ্ছে।
সূচিপত্রঃ
- অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম
- অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা
- অর্জুন গাছের ফলের উপকারিতা
- অর্জুন ছালের গুড়া খাওয়ার নিয়ম
- অর্জুন চা এর উপকারিতা
- অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতা
- অর্জুনের ঔষধি গুন
- অর্জুন পাতার ব্যবহার
- অর্জুন পাতার ঔষধি গুন
- শেষ মন্তব্য
অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম
অর্জুন গাছের ছাল পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে হয়। অর্জুন গাছের ছাল একমাস নিয়মিত সেবন করা আবশ্যক। অর্জুন গাছের ছাল কেটে টুকরো টুকরো করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। অর্জুন গাছের শুকনো ছালগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। বা ছাল সেগুলো শুকিয়ে পাউডার করে পটে সংরক্ষণ করতে হবে।
রাতে অর্জুন গাছের টুকরো টুকরো ছাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। সকালে পানি ছেঁকে খালি পেটে খেতে হবে। ৯ ও বিশ গ্রাম পরিমাণ আধা চূর্ণ অর্জুন ছাল নিয়ে দুই কেজি পরিমাণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরবর্তীতে জাল করে নামিয়ে ছেঁকে সেবন করতে হবে। কাজ করে এবং লিভার সিরোসিস টনিক হিসেবে কাজ করে।অর্জুন গাছের ছাল উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে ।
অর্জুন গাছের বাকল, লিপিড ট্রাইগ্লিসারাইড স্তর হ্রাস করার মাধ্যমে কোরেস্টেরল হ্রাস করে। অর্জুন গাছের ছাল সেবনে রক্ত প্রবাহের বাধা দূর করে । অর্জুন গাছের ছাল পানিতে ভিজিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে খেলে গ্যাস্ট্রিক ও শ্বাসকষ্টে খুব উপকার হয় । অর্জুন গাছের ছাল একমাস নিয়মিত সেবন করে যাওয়া আবশ্যক । অর্জুন গাছের ছাল রাতে পানিতে ভিজিয়ে পরের দিন সকালে পানি থেকে খেতে হয় ।
অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা
অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা ও অর্জন গাছের ছালের উপকারিতা অনেক রয়েছে। অর্জুন গাছ একটি ঔষধি গাছ যা ভারতে খুব ব্যবহৃত হয়। এ ছালে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবংআন্টিমাইক্রোবিয়ালবৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিচে অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা সম্পর্কে বলা হলোঃ
হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে
অর্জুন গাছের ছাল হার্টের সমস্যায় খুব ভালো কাজ দেয়। এটি কার্ডিয়াক মাসল শক্তিশালী করে। হাতের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে। করোনারি হার্টের রোগ হতে দেয় না। অর্জুন গাছের ছাল সারারাত পানিতে ভিজিয়ে পরের দিন বেটে দুধে মিশিয়ে খান । আর তা না হলে ছাল গুঁড়ো করে দুধে মিশে খান।
ত্বকের পরিচর্যায়
আসলে আমরা কেউ জানি না আমাদের ত্বকের জন্য এই অর্জন গাছের ছাল কতটা উপকারী ও উপযোগী। এটি ভিতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ত্বকের কোষ মজবুত করে। ব্রণের ওপর লাগালে তা কমে যায়। অর্জুন গাছের বাকল অনেকেই ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করছে নিয়মিত ।
আরো পড়ুনঃ অর্জুন গাছের ছালের কাজ
ক্ষত হলে ব্যবহার করা যায়
আমাদের অনেক সময় পচরা চুলকানি হয়ে থাকে। এগুলো তখন কিছুতেই ভালো হতে চায় না। সে সময় অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করা যায়। রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং এই পানি দিয়ে পরের দিন জায়গাটা ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর অর্জুন গাছের ছালের গুড়ো পানিতে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ওই জায়গায় লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন তারপর ধুয়ে ফেলুন তবেই ইনশাআল্লাহ উপকার পাবেন। আবার অর্জুন গাছের ছাল আমাশয় মুক্তি দান করে।
হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে
আমাদের প্রধান সমস্যা হল হ জমে অসুবিধা। থেকে তৈরি হয় গ্যাস অম্বল আরো কত কিছ? কিন্তু অনেক ওষুধ খেয়েও এই সমস্যা কমে না। একবার অর্জুন গাছের ছালে বিশ্বাস করে দেখুন এবং রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে হালকা গরম পানিতে অর্জুন গাছের ছাল এর গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে নিন। এটি রোজ রাতে খান নিয়মিত ভাবে। এতে আপনার হজম ক্ষমতা বাড়বে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে
অর্জুন গাছের ছাল ক্যান্সার প্রতিরোধ ও কাজ করছে । বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছে অর্জুন গাছের ছালে আছে গ্যালিক এসিড আর লুটেনোনিন। এই দুটি উপাদান ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি কমায়। যদি আপনি নিয়ম মেনে এই ছাল ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু ক্যান্সার এর হাত থেকে বাঁচতে পারবেন। সপ্তাহে দুদিন শুধু শুতে যাওয়ার আগে দুধে অর্জুন গাছের ছাল গুরু করে মিশিয়ে খেয়ে নিন। তাহলে আপনি উপকার লাভ করবেন।
হাড় চমকে গেলে
হাঁটাচলা করতে করতে অসাবধানতা বসত আপনার পায়ে চোট লাগতে পারে। সেখান থেকে হাত চমকে যাওয়া বা চির খাওয়া খুবই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে অর্জুন গাছের ছাল বেটে তার সাথে রসুন বাটা মিশিয়ে ওই ব্যথার জায়গায় লাগিয়ে রাখুন এবং তার সঙ্গে রোজ রাতে অল্প দুধের সঙ্গে অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়ো করে মিশিয়ে খান। সত্যি এটি খুব ভালো কাজ দেবে।
লিভারের সমস্যায়
লিভার ভালো থাকা আমাদের শরীরের জন্য খুব দরকার। লিভার ভাল থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান হয় ডাক্তাররা এ কথা বলে থাকেন । কিন্তু সেই লিভারত অনেক সময় ঠিকমতো কাজ করে না। সেজন্য লিভার সুস্থ রাখতে অর্জুন গাছের ছাল নিয়মিত খান। অর্জুন গাছের গুঁড়ো পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং পরের দিন সেই পানি খেতে হবে। এটি লিভার সিরোসিসের টনিক হিসেবে কাজ করে।
উন্নত চুলের জন্য
চুল পড়ে যাওয়া এখন রেওয়াজ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। চুলের বৃদ্ধির জন্য আমরা অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করতে পারি। মাথার চুলের মধ্যে অর্জুন গাছের ছাল এবং হেনার মিশ্রণ চুলের লাগানোর ফলে চুল সাদা থেকে কালো হয়।এবং এর সাথে চুলকে শক্তিশালী করে তোলে।
কাশি সারা সারায়
অনেকেই কাশির সমস্যায় ভোগেন। কাশির সমস্যায় অর্জুন গাছের ছালের গুঁড়ো বেশ উপকার দেয়।শুকনো অর্জুন গাছের ছালের গুড়ো তাজা সবুজ ছোট পাতার রসের সাথে মিশিয়ে দিয়ে আবার শুকিয়ে নিন। এভাবে সাতবার মেশানোর পর যা অবশিষ্ট থাকে তা দিয়ে চূর্ণ প্রস্তুত করুন। এবং এর সাথে মধু দিয়ে রোগীকে সেবন করালে রোগী আরাম অনুভব করবে।
মাড়ির সমস্যা দূর করে
মাড়ি থেকে রক্ত পড়া খুব সাধারণ সমস্যা। অনেক সময় মাড়ি লাল হয়ে যায় এবং ফুলে যায়। এবং তাতে ব্যথা করে। অর্জুন গাছের ছাল আপনাকে মাড়ির সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। অর্জুন গাছের ছালে রয়েছে ট্যানিন। অর্জুন গাছের ছাল এর গুড়ো মাজনের মত ব্যবহার করুন। তাহলে এ থেকে উপকার পাবেন।
বুক ধরফরে কাজ করে
বুক ধরফর করা আমাদের একটি অন্যতম সমস্যা । অনেক সময় আমাদের বুক ধরফর করে। দূর থেকে হেঁটে আসলে বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে । আবার অনেক সময় চিন্তায় পড়ে গেলে আমাদের বুক ধরফরের সমস্যাটা হয় । এ সমস্যার উপকার দিতে পারে অর্জুন গাছের ছাল। অর্জুন গাছের ছালশুকিয়ে নিয়ে দুধের সঙ্গে মিশে রোজ বিকেলে খা। তবে একটু ঠান্ডা করে খাবেন এতে সমস্যা দূর হবে।
অর্জুন গাছের ছাল মরণ মরণব্যাধি রোগের জন্য কার্যকর। অর্জুন গাছের ছাল খেয়ে অনেক মানুষ উপকৃত হচ্ছে। এই অর্জুন গাছের ছাল আমাদের অসুখ থেকে মুক্তি দিচ্ছে। এটি নিয়মিত সেবনের ফলে অনেক রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে।
অর্জুন গাছের ফলের উপকারিতা
অর্জুন গাছের ফলের উপকারিতা সম্পর্কে এ পর্যায়ে আমরা জানব। অর্জুন গাছের ছালের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর ফল পাতার ও বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। অর্জুন গাছের ছাল, পাতা এবং ফল ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়। অর্জুন গাছের ফল অত্যন্ত পুষ্টিকর সমৃদ্ধ। এবং এটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
এতে রয়েছে বিভিন্ন ঔষধিগুন যেমনঅ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টিইনফ্লেমেটরি এবং এন্টি মাইক্রোব্রিয়াল। এই ফল রক্তচাপ কমায় এবং মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। আবার লিভার সিরোসিস টনিক হিসেবে কাজ করে। এটি মুখ জিব্বা ও নারীর প্রদানের চিকিৎসা ব্যবহৃত হয় এমনকি মারে রক্তপাত বন্ধ করে। এছাড়া এটা চর্ম ও যৌন রোগে অর্জন ব্যবহার হয়।
অর্জুন ছালের গুড়া খাওয়ার নিয়ম
অর্জুন সালের গুড়া খাওয়ার নিয়ম অনেক। অনেক ক্ষেত্রে অর্জুন সালের গুড়া ব্যবহার করা হয়। ইতিমধ্যে আমরা অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম ও অর্জুন গাছের উপকারিতা সম্পর্কে অনেক নিয়ম জেনে এসেছি। বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে অর্জুন গাছের গুড়া ব্যবহার হয়ে থাকে। এই গুড়া ব্যবহার ফলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি মিলে।
অর্জুন গাছের ছাল উচ্চ রক্তচাপ কমায় সে ক্ষেত্রে অর্জুন গাছের গুড়া খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। অর্জুন গাছের ছালের গুড়া এক চামচ নিয়ে দুই গ্লাস পানিতে অর্ধেক করে দিয়ে গরম করে সকালে ও সন্ধ্যায় খাওয়া। এটা করলে বন্ধ ধমনী খুলবে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যাবে। দাঁতের মাড়ির সমস্যার ক্ষেত্রে অর্জুন গাছের ছাল এর গুড়ো মাজনের মতো ব্যবহারে উপকার মিলবে।
আমাশয়ের ক্ষেত্রে অর্জুন গাছের ছালের গুড়া খাওয়ার নিয়ম নিয়ম রয়েছে। অর্জুন গাছের ছালের গুড়া ছাগলের দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে আমশার সমস্যা কমে যাবে। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা গরম পানিতে অর্জন গাছের ছালের গুড়া মেশিয়ে খেয়ে নিন তাহলে হজমের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
অর্জুন চা এর উপকারিতা
অর্জুন গাছের ছাল দিয়ে তৈরি করা হয় অর্জুন চা। অর্জুন গাছের ছালের গুড়োএক কাপ পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে গরম করে তৈরি করে নিন অর্জুন চা। আর যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা চা এ দারুচিনি দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে খালি পেটে খেতে পারেন। অর্জন চা য়ের উপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য।
- অর্জুন চা হৃদরোগের জন্য অনেক উপকারী।
- অর্জুন চা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- রক্তনালীতে জমে থাকা চর্বি বা ব্লাড লিপিড অপসরণে অত্যন্ত ভূমিকা পালন করে এই অর্জুন চা।
- অর্জুন চা স্ট্রোক হতে রক্ষা দেয়।
- লিভারের সমস্যায় কাজ করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে।
অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতা
অর্জুন গাছের ছাল এর অপকারিতা এবং উপকারিতা উভয় রয়েছে। সবকিছুরই ভালো এবং খারাপ দিক দুটোই রয়েছে। তেমনি অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতা রয়েছে।
- হজমের সমস্যার ক্ষেত্রেঃ অর্জুনের ছাল খাওয়ার ফলে অনেকের পেটে বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়ার মত সমস্যা হতে পারে।
- রক্তের শর্করা মাত্রা কমায়ঃ অর্জুনের ছাল রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। এইছাল এর মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে যাদের ডায়াবেটিস আছে এবং সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য ঔষধ সেবন করেন তাদের ক্ষেত্রে রক্তের শর্করার মাত্রা কমতে পারে।
- এলার্জির সমস্যায়ঃ কিছু ব্যক্তি অর্জুনের ছালে উপস্থিত উপাদান গুলিতে এলার্জি হতে পারে যার কারণে ত্বকে ফুসকুড়ি চুলকানি হতে পারে। এবং শ্বাসকষ্টের মতো এলার্জি সমস্যা হতে পারে।
- গর্ভাবস্থায়ঃ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অর্জুনের ছাল ব্যবহার করা উচিত নয়। এটা এড়িয়ে চলাই উত্তম। এর ব্যবহারের ফলে ঠান্ডা লাগার সমস্যা হতে পারে।
অর্জুনের ঔষধিগুন
অর্জুন গাছের ছালের ঔষধি গুন প্রচুর। অর্জুন গাছের ছাল, ফল ও পাতা ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অর্জুনের বাকল থেকে আহরিত ট্রেনের চামড়া তে ব্যবহার করা হয়। এই টেনিন মুখ, জিব্বা ও মাড়ির প্রধান চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এবং রক্তপাত বন্ধ করে। শরীরের ক্ষত পত্রা দেখা দিলে অর্জুনের ছাল বেটে লাগালে সেগুলো সেরে যায়।
অর্জুনের বাকল থেকে হৃদরোগের ওষুধ বানাতে সাহায্য করে এবং আমোশের ওষুধ বানাতে সাহায্য করে। অর্জুন গাছের ছাল উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে । অর্জুন গাছের বাকল, লিপিড ট্রাইগ্লিসারাইড স্তর হ্রাস করার মাধ্যমে কোরেস্টেরল হ্রাস করে। অর্জুন গাছের ছাল সেবনে রক্ত প্রবাহের বাধা দূর করে।
অর্জুন গাছের ছাল পানিতে ভিজিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে খেলে গ্যাস্ট্রিক ও শ্বাসকষ্টে খুব উপকার হয় । অর্জুন গাছের ছাল একমাস নিয়মিত সেবন করে যাওয়া আবশ্যক। অর্জুন গাছের ছাল রাতে পানিতে ভিজিয়ে পরের দিন সকালে পানি থেকে খেতে হয় । অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম ও একটি ঔষধি গুণের মধ্যে পড়ে।
অর্জন পাতার ব্যবহার
অর্জুন গাছের ছাল এর যেমন অনেক ব্যবহার রয়েছে তেমনি পাতারও বিশেষ ব্যবহার রয়েছে। এটি ভেষজ ওষুধ হিসেবে ও পরিচিত। এ পাতার কিছু ব্যবহার তুলে ধরা হলো।
- হারবাল জুস তৈরিতে অর্জুন ও তুলসী পাতা ব্যবহার করে এবং জুস এ সুগন্ধ আনতে আমচুর পাউডার মেশানো হয়।
- ফলের সালাদে স্পেশাল একটা আলাদা সুগন্ধ আনতে ব্যবহার করা হয় অর্জুন পাতা।
- তরকারি রান্নায় ব্যবহার করা হয়। তরকারির সুগন্ধ বারায় সেজন্য।
- অর্জুন পাতা মুখের দুর্গন্ধ সরাতে সাহায্য করে।
- অর্জুন পাতা খেলে হজমি শক্তি বৃদ্ধি পায়
- ক্ষুধা বাড়াতে অর্জুন পাতা সাহায্য করে বিশেষ করে শিশুদের জন্য।
- ছোট খাটো সংক্রমণ প্রতিরোধে অর্জুন পাতা কাজ করে।
- পেটের নানা সমস্যা যেমন পেট ব্যথা এগুলোতে অর্জুন পাতা ব্যবহার করা হয়।
- কাশি সর্দি সারাতে অর্জুন পাতা খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে।
অর্জুন পাতার ঔষধি গুণ
অর্জুন গাছের ছালের ঔষধিগুণ রয়েছে ঠিক তেমনি অর্জুন পাতার ঔষধি গুন রয়েছে। অর্জুন গাছের ছাল, ফল এবং এর পাতা ভেষজ হিসেবে ব্যবহার হয়। অর্জুন পাতার ঔষধিগুণ অনেক রয়েছে। এই পাতা ব্যবহারে মানুষ উপকৃত হচ্ছে। এ পাতা বিভিন্ন খাবার রান্নায় ব্যবহার হয়ে থাকছে। একটু গন্ধ বাড়ানোর জন্য।
অর্জন পাতা ব্যবহৃত হচ্ছে অনেক রোগের ঔষধ হিসেবে। এটা ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে বিশেষ করে শিশুদের জন্য। পেট ব্যাথার জনিত সমস্যা এগুলো দূর করতে অর্জন পাতা ব্যবহার করা হয়। আবার ঠান্ডা জনিত সমস্যা যেমন কাশি সর্দি এগুলো ছাড়াতে অর্জুন পাতা খুব দ্রুত কাজ করে।
শেষ মন্তব্য
এ পর্যন্ত আমরা অর্জুন পাতার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম এবং অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। এ পোস্টে আপনাদের বিভিন্ন রোগের সমস্যার সমাধান দেওয়া রয়েছে। যার ফলে আপনারা উপকৃত হবেন।
প্রিয় পাঠক এ পর্যন্ত আপনারা অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে ও তার বিশেষ উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন . যদি আপনারা এখান থেকে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করুন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url