চুলের যত্নে মেথি ও অ্যালোভেরা ব্যবহারের নিয়ম

 চুলের যত্নে মেথি ও অ্যালোভেরা খুবই কার্যকরী। চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন?  তাহলে এখনি চুলের যত্নে মেথি ও অ্যালোভেরা ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন। দূষণ থেকে চুলের বেশি ক্ষতি হয়। চুল চর্চায় মেথি ও অ্যালোভেরার ব্যবহার পুরনো।




 আর এখানে এলোভেরার গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না।  অ্যালোভেরার হেয়ারমাক্স দিয়ে চুল হবে সফট সিল্কি ও সাইনি। চুলের সমস্যা সমাধানের মেথি ও অ্যালোভেরা খুবই উপকারী।

সূচিপত্রঃ

অ্যালোভেরার গুনাগুন সম্পর্কে

অ্যালোভেরাতে রয়েছে ন্যাচারাল আন্টি অক্সিডেন্ট যা দেয় হেল্প ও সেলফ কেয়ারে মাল্টিপল বেনিফিটস। অ্যালোভেরাতে অনেক ধরনের উপকারী এলিমেন্ট রয়েছে যেমন ভিটামিন, মিনারেল যা চুলের যত্নে ভালো কাজ করে। অ্যালোভেরাতে রয়েছে ২০ রকমের খনিজ।  

অ্যালোভেরাতে রয়েছে ভিটামিন অ, ই১,ই২,ই৬,ই১২,ঈ এবং ঊ রয়েছে। অ্যালোভেরার পাতা ও শাঁস  ব্যবহার করা হয়। অ্যালোভেরার পাতার রস যকৃতের জন্য উপকারী। অ্যালোভেরার গুনাগুন অনেক এলোভেরা হজমি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্ক উন্নতি সাধনে কাজ করে এবং বুকে জ্বালা পোড়া থেকে রক্ষা করে।

অ্যালোভেরার জুস একগ্লাস করে সপ্তাহে ৭ দিন খেলে হজমের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এবং ডায়েটে অ্যালোভেরা রাখলে স্মৃতিশক্তির উন্নতি হয় ফলে মন ভালো থাকে। আবার এলোভেরা এসিডিটির ঔষধ হিসেবে কাজ করে। এমনকি চুলের যত্নে মেথিও অ্যালোভেরা খুবই ভালো কাজ দিচ্ছে।

চুলের যত্নে মেথি ও অ্যালোভেরা ব্যবহারের নিয়ম

চুলের যত্নে মেথি ও অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ চুলের যত্ন নিতে পারে গভীর থেকে। এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ,  ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই চুলে পুষ্টি জুগিয়ে চুলকে করে তোলে ঘন ঝলমলে। চুলে এলোভেরা ব্যবহারের নিয়ম,  মাথায় শ্যাম্পু করে নিয়ে তারপর এলোভেরা ও নারিকেল তেলের একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিয়ে মাথায় ভালো করে লাগান। 

গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন এরপর শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর চুল শুকিয়ে দেখুন আপনার চুল ঝলমলে হয়েছে। এবার চুলে এলোভেরা ব্যবহারের নিয়ম, মেথি ভিজিয়ে রেখে পানি ছেকে নিন এবং এই পানি সকালে হেয়ার স্প্রের মত চুলে লাগান এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। 

আবার মেথি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। পরের দিন সকালে বেটে চুলে লাগান। এবং এই প্যাকটি ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু ধুয়ে ফেলুন। তাহলে এই প্যাকটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করবে। আবার মেথি তেলের সাথে ভিজিয়ে রেখে মাথায় ব্যবহার করা যায়। ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুল পড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চুলের যত্নে মেথি ও অ্যালোভেরা খুব উপকারে আসছে।

 চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য  অ্যালোভেরা  মেথির মাক্স

চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য অ্যালোভেরা মেথির মাক্স খুব  কার্যকর। তিন চাচা চামচ এলোভেরা জেল নিয়ে তাতে ২ চামচ মেথি পাউডার মিক্স করে নিন। এরপর হেয়ারমাক্স টি ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। চুল পড়া কমাতে ও দ্রুত বৃদ্ধির জন্য ম্যাজিক এর মত কাজ করে এই হেয়ার মাক্স।

সিল্কি চুলের জন্য অ্যালোভেরা ও টক দইয়ের  মাক্স

তিন চা চামচ ফ্রেশ এলোভেরা জেল এর সাথে ২ চা চামচ টক দই এবং এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে নিন। ফ্রেশ এলোভেরা পাতা না পেলে রেডিমেড জেল ইউজ করতে পারবেন। এই উপাদানগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে চুল এ লাগান। ৩০ মিনিট রেখে দিয়ে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে এই মাস্কটি আপনার চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং চুলকে সিল্কি করে তুলবে।

অ্যালোভেরার রসের কয়েকটি গুণ

  • নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পানে পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ হয়। ফলে দেহের পরিপাকতন্ত্র সতেজ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এছাড়া ডায়রিয়া সারাতেও অ্যালোভেরা রস খুবই  ভালো কাজ করে।
  • নিয়মিত অ্যালোভেরা সেবন শরীরের শক্তি যোগানসহ ওজনকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
  • দেহে সাদা ব্লাড সেল গঠন করে যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।
  • দেহ থেকে ক্ষতিকর পদার্থ অপসারণে এলোভেরার রস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ঔষধির কাজ করে।
  •   অ্যালোভেরার রস হারের সন্ধিকে সহজ করেএবং দেহে নতুন কোষ তৈরি করে। ছাড়া হার ও মাংসপেশীর জোড়া গুলোকে শক্তিশালী করে।
  • অ্যালোভেরার পাতার রস ত্বকের উপর লাগালে উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং রোদে পোড়া ত্বকের ক্ষেত্রে উপকারী।
  • কোন ভারী কিছু তুলতে গেলে বা উঁচু নিচুতে পা ফেলতে গেলে কোমরে ঠিক ব্যথা হলে অ্যালোভেরার  শাঁস মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।

মেথির গুনাগুন

চুল চর্চায় মেথির ব্যবহার অনেক পুরনো। চুলের বিভিন্ন সমস্যা হলে মেথি এর সমাধান দিতে পারে।খুশকি দূর করে, চুল পড়া রোধ করে এটি। মেথির গুনাগুন রয়েছে তেমনি চুলের যত্নে মেথি ও অ্যালোভেরার উপকারিতা অনেক। মেথি ব্যবহারে মানুষ অনেক আগ্রহী হচ্ছে । ফলে মেথির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে।

মেথির বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। আবার রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে। জ্বরের প্রকট কমাতে ও সর্দি কাশি সারাতে কাজ করে। চুল পড়া রোধ করে এবং ত্বকে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।

চুলের যত্নে মেথি

  • ভালো চুলের জন্য মেথি বেটে নারিকেল দুধের সঙ্গে মিশিয়ে চুল ও মাথার ত্বকে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এবং দেখুন  চুল ঘন ও উজ্জ্বল দেখাবে।
  • মেথি বেটে নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল এর সঙ্গে মিশিয়ে  পেস্ট তৈরি করুন । সামান্য এলোভেরা জেল মিশাতে পারেন এবং মিশ্রণটি বিবর্ণ ও রুক্ষ চুলের লাগিয়ে রাখুন না শুকানো পর্যন্ত । এই প্যাক ব্যবহারে চুল পড়া কমবে।
  • খুশকি দূর করতে অতুলনীয় মেথির হেয়ার প্যাক। মেথি বাটার সাথে লেবুর রস মিশন। মিশ্রণটি মাথার ত্বকের সাথে লাগিয়ে রাখুন । অতিরিক্ত খুশকি সমস্যা হলে 3/4 টেবিল চামচ টক দই এ ২/৩ চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। পরের দিন ব্লেন্ড করে মাথায় লাগান তাহলে খুশকি হতে রেহাই পাওয়া যাবে।
  • প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন মেথি। এজন্য মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন পেস্ট করে নিন এবং মেথির পেস্ট চুলে লাগিয়ে রাখুন 30 মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে নিন তাহলে দেখবেন ঝলমলেও উজ্জ্বল।
  • মেথি বাটার সঙ্গে দুই চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার ও সামান্য পানি মিশিয়ে শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করুন চুলে তাহলে এটি চুলের অতিরিক্ত তেল দূর করবে।

চুল লম্বা করতে মেথির ব্যবহার

অনেক আগে থেকেই চুলের যত্ন ব্যবহার হয়ে আসছে মেথি। এই ক্ষুদ্র হলুদ রঙের বীজ এতটাই শক্তিশালী যে তা অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে এখানেই শেষ নয় চুলের নতুন প্রাণ যোগাতেও পারে এই মেথি দানা।ঘন কালো ও লম্বা চুল সব মেয়েরই পছন্দ। কিন্তু দূষণ শারীরিক কারণ ও অযত্নের জন্য অকালে বেড়েছে চুলের নানা সমস্যা। 

কোন কিছুতেই এর সুরাহা হচ্ছেনা।  তবে একটা উপায় রয়েছে। আপনারা কি জানেন ঘন সুন্দর চুলের স্বপ্নকে পূরণ করতে পারে মেথি দানা। তাহলে জানুন মেথির গুনাগুন এবং চুলের যত্নে কিভাবে লাগাবেন এ বিশেষ দানা কে।

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং প্রোটিন রয়েছে। এই দুটি জিনিস চুলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কারণ মেথিদা না চুলের অনেক সমস্যা সমাধান করে যেমন চুল পড়া, খুশকি দূর করা, শুষ্ক প্রাণহীন চুল ইত্যাদি থেকে মুক্তি দিতে পারে। 

 চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার 

চুলের শুষ্ক ভাব এবং ত্বকে চুলকানি দূর করার জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারবেন।অ্যালোভেরার এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল উপাদান চুল পড়া ও খুসকে সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে সে জন্য অ্যালোভেরা রসের সঙ্গে আমলকি রস মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এতে করে চুলের উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে। 
  • চুলের যত্নে যারা বেশি সময় ব্যয় করতে পারেন না তাদের জন্য দ্রুত সমাধান এনে দিতে পারেঅ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা জেল মাথার তালুতে ব্যবহার করুন। দুই ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন নিয়মিত করলে চুল পড়া বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি নতুন চুল গজাবে।
  • অ্যালোভেরার শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। মিশিয়ে হারবাল শ্যাম্পু বানিয়ে নিতে পারেন।
  • চুল পরিষ্কার করতে শ্যাম্পুর বদলে এর এলোভেরা হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা যায়। নারিকেল তেল,লেবুর রস ও নারিকেলের দুধের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে ব্যবহার করুন। তাহলে চুল সতেজ থাকবে। 
  • চুল সুস্থ রাখতে নিয়মিত তেলের ব্যবহার প্রয়োজন। নারীকেল বা জলপাই তেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। চাইলে ঘরে বসেও বানিয়ে নিতে পারেন অ্যালোভেরা হেয়ার অয়েল।
  •  চার ভাগের এক ভাগ অ্যালোভেরা জেল এর সঙ্গে ভেজিটেবল ওয়েল মিক্স করুন। তারপর 10 মিনিট গরম করে ঠান্ডা করে নিন । এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে ও খুশকি দূর হবে দূর হবে।
  • চুলের ঝলমলে ভাব বাড়াতে কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা। অনেক সময় রোদ ও ধুলাবালিতে চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং দুর্বল হয়ে মাঝখান থেকে ভেঙে পড়ে যায়। তাই শ্যাম্পু করার পর নিয়মিতও অ্যালোভেরা  কন্ডিশনার ব্যবহার করলে মুক্তি পাবেন এই সমস্যা থেকে।

ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার 

  • বাইরে থেকে এসে মুখ ঠান্ডা পানি নিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর ম্যাসাজ ক্রিম দিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ কিছুক্ষণ করুন। তারপর মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। এবার পরিষ্কার মুখে এলোভেরা প্যাক লাগান। 
  • রোদে পুরে ত্বক তামাতে হয়ে গেলে অ্যালোভেরা লোশন ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া সবচেয়ে বেশি ভালো হয় অ্যালোভেরা জেল সরাসরি তোকে লাগাতে পারলে। 
  • মুখের ত্বকে প্রতিদিন দুইবার অ্যালোভেরা লাগালে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে ত্বক। এছাড়া গোলাপ জল ও অ্যালোভেরা একসঙ্গে মিশে মুখে লাগালেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। 
  • অ্যালোভেরা ত্বকের মেছতা দূর করতে সাহায্য করে। আঙ্গুলের মাথায় খানিকটা জেল নিয়ে দাগের উপর ধীরে ধীরে মেসেজ করুন সারারাত লাগিয়ে রাখুন পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন । এভাবে কয়েক সপ্তাহ লাগালে দাগ কমে যাবে। তাছাড়া অ্যালোভেরা , মধু  ,শসা একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগালে দূর হওয়ার পাশাপাশি উঠবে ত্বক। 
  • রাখার জন্য নিয়মিত এলোভেরা প্যাক লাগাতে পারেন। একটি ডিমের সাদা অংশ এবং এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ভালোভাবে প্যাক তৈরি করুন এবং পুরো মুখে লাগান, শুকিয়ে এলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • ব্রণের দাগ দূর করতে ও অ্যালোভেরা খুবই কার্যকরী। অ্যালোভেরা রসের সঙ্গে মুলতানি মাটি ও চন্দন পাউডার মিশিয়ে মুখে লাগান তাহলে ব্রণের দাগ চলে যাবে। 

ঘন চুল করতে অ্যালোভেরার ব্যবহার

ঘন চুল করতে এলোভেরার ব্যবহার খুবই ভালো একটি উপকরণ। কয়েকটি জবা ফুল নিয়ে তা পেস্ট করে নিন এবং এ পেস্ট এর মধ্যে এলোভেরা জেল মিশিয়ে নিন।পুরো মিশ্রণটি ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ভালো করে মাথায় লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন অবশ্যই শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নেবেন ।


চুল পড়া বন্ধে আরও একটি উপাদান হলো কফি যার চুল পড়া আটকাতে সাহায্য করে। হলুদ ও অ্যালোভেরার পেস্ট চুলে প্রায় 40 মিনিটের জন্য রেখে দিন।  তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন এবং সপ্তাহে এই হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারবেন।

শীতে ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা

শীতে ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন। কারণ শীতে ত্বক হয়ে যায় রুক্ষ ও প্রাণহীন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এমনকি ত্বকের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়ে। আবার তার মাঝে দূষণ তো রয়েছে। এই অবস্থায় ত্বকের চর্চায় ভরসা রাখতে হবে অ্যালোভেরার উপর। অ্যালোভেরার গুণ বহুমুখী এবং তার নির্যাস কার্যকরী।

অনেকে রাতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করে। শুধু এলোভেরা নামে কে এর সাথে গোলাপজল মিশিয়ে মুখে পিঠে গলায় লাগাতে পারেন। আবার উজ্জ্বল ত্বকের জন্য এলোভেরা ফেস মাক্স ব্যবহার করতে পারেন।
এটি ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করতে পারেন। এটি তৈরি করতে মধু, হলুদ লাগে। এক চিমটি হলুদ ও এক চামচ মধু নিয়ে মিশিয়ে নিন এবং তার সাথে এলোভেরা জেল নিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন।

আবার চুলের যত্নে ম্যাথি ও অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। মেথি ব্যবহারের ফলে চুল হয় মজবুত। 
অ্যালোভেরা চুলে ব্যবহারের ফলে চুল হয় সিল্কি  এবং শায়নি।

শেষ কথা

যদি চুলের যত্নে মেথি ও অ্যালোভেরা ব্যবহারের নিয়ম জেনে আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আপনারা আপনাদের আত্মীয় স্বজনদের সাথে শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url