কাঁচা ছোলা ও কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা এবং কাঁচা ছোলার পুষ্টিগুণ
আপনারা অনেকেই কাঁচা ছোলা ও কাঁচা বাদাম খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু জানেন কাঁচা ছোলা ও কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা অনেক। কাঁচা ছোলা ও কাঁচা বাদামের পুষ্টিগুণ ও অনেক। আমরা অনেকেই কাঁচা বাদাম খেতে বা কাঁচা ছোলা খেতে পছন্দ করি না।
আর তা খেলে কি উপকার হয় তাও জানি না। তাহলে জেনে নেওয়া যাক, কাঁচা ছোলা ও কাচা বাদামের উপকারিতা এবং কাঁচা ছোলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ কাঁচা ছোলা ও কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
- কাঁচা ছোলা ও কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
- কাঁচা ছোলা খাওয়ার পরিমান
- কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
- কাঁচা ছোলার পুষ্টিগুণ
- প্রতিদিন ছোলা খেলে কি হয়
- সিদ্ধ ছোলা খেলে কি হয়
- বাদাম ও কিসমিস এর উপকারিতা
- ছোলা বাদাম ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
- ছোলা বাদাম কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
- কাজু বাদাম ও কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম
কাঁচা ছোলা ও বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা ছোলা ও কাঁচা বাদামের উপকারিতা অনেক । কাঁচা বাদাম ও কাঁচা ছোলা আমাদের সবার চেনা। এই দুটো জিনিস আমরা কাঁচা খেতে সাধারণত ভালোবাসি না। কেননা কাঁচা খেতে ভালো লাগে না। এ দুটো জিনিস আমরা ভেজে খেতে বেশি ভালোবাসি। কাঁচা ছোলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং এটির সাথে এক টুকরা আদা খেলে এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।
কাঁচা ছোলা খালি পেটে খাওয়ার খুব উপকারিতা রয়েছে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কাঁচা ছোলা খাওয়ার ফলে দূষিত কোলেস্টেরল দূর করে। আবার ক্যান্সার প্রতিরোধেও কাঁচা ছোলা খুব ভালো কাজ করে। নিয়মিত কাঁচা ছোলা খাওয়ার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। রক্ত চলাচলে কাজ করে।
কাঁচা ছোলা খাওয়ার ফলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেমন এলার্জি কমানোর ক্ষেত্রে, হজম শক্তিতে, ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে, রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও। কাঁচা ছোলা সকালে পানিতে ভিজিয়ে খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
কাঁচা ছোলার যেরকম উপকারিতা রয়েছে সেরকম কাঁচা বাদাম এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে কাঁচা বাদাম খেয়ে থাকি। কখনো কখনো গল্পের মাঝে মাঝে খেয়ে থাকি। তো আরো রেবিশেষ বিশেষ উপকারিত রয়েছে। কাঁচা বাদাম স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতেখুব ভালো কাজ করে। কাঁচা বাদাম বিশেষ করে ত্বকের ক্ষেত্রে এবং সৌন্দর্য বাড়াতে ভূমিকা পালন করে।
কাঁচা ছোলা খাওয়ার পরিমাণ
কোন খাবার অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য কখনোই ভালো নয়। পুষ্টিকর খাবার বলে ইচ্ছামত খাওয়া যাবে না। একজন সুস্থ ব্যক্তি প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম ছোলা খেতে পারবে। আবার মাত্র এক কাপ ছোলায় থাকে ১০ থেকে ১৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে এবং এতে কার্বোহাইড্রেট থাকে। আর যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কতটুকু ছোলা খেতে হবে তা জেনে নিবেন।
কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
আমরা এবার কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব। কাঁচা ছোলার পুষ্টিগুণ যেমন রয়েছে তেমনি কাঁচা বাদামের ও পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক। যারা নিয়মিত কাঁচা বাদাম খেয়ে থাকেন তাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান প্রবেশ করছে। যেমন-কাচা বাদামে রয়েছ ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন ও ভিটামিন ই।
কাঁচা বাদাম এর পুষ্টিগুণ হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্যান্সারের আশঙ্কা হতে দূরে রাখে। কাঁচা বাদাম রূপচর্চায় খুব ভালো উপকার দেয়।
- কাঁচা বাদাম হাড় মজবুতে সহায়তা করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাঁচা বাদাম কাজ করে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধেও কাঁচাবাজান সহায়তা করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাঁচা বাদাম বেশি উপকারী।
- শরীরচর্চায় কাঁচা বাদামের ব্যবহারে সুফল পাওয়া যায়।
- হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে কাঁচা বাদাম।
- বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হতে রক্ষা করে ।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
- মস্তিষ্কের কি বিকাশের সাহায্য করে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
- চোখ, ত্বক ও দাঁত গঠনে সাহায্য করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে কাঁচা বাদাম।
কাঁচা ছোলার পুষ্টি গুণ
কাঁচা ছোলা অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও খাদ্য শক্তি। ছোলাতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হজম ক্ষমতার উন্নতি সাধন করে। কাঁচা ছোলা শরীরের বিভিন্ন টক থেকে রক্ষা করে এবং শরীরে থাকা ক্ষতিকর উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে।
কাঁচা ছোলার পুষ্টিগুণ এত বেশি যা শরীরের সারাদিনের ঘাটতি পূরণ করে। রমজান মাসে আমাদের ইফতারের জনপ্রিয় খাদ্য হলো ছোলা। তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ যা সারাদিন রোজা রাখার ঘাটতি পূরণ করে। এটা শরীরকে শক্তিশালী করে এবং হারকেমজবুত রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
প্রতিদিন ছোলা খেলে কি হয়
কাঁচা ছোলা ও কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ইতিমধ্যে আমরা জেনে এসেছি। তো এখন প্রতিদিন ছোলা খেলে কি হয় সেই বিষয়ে জানব। ছোলা শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি খাদ্য। ছোলা কাঁচাও খাওয়া যায় এবং রান্না করে খাওয়া যায়। ছোলাতে পুষ্টির কমতি নাই।
ছোলায় প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ফলিক এসিড। ফলিক এসিড থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন ছোলা খেলে পায়ের আর্টারিতে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। প্রতিদিন ছোলা খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া ছলায় থাকা প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি দীর্ঘক্ষণ ধরে শরীরে শক্তির যোগান দেয়।
সিদ্ধ ছোলা খেলে কি হয়
আমরা ছোলা ভেজে খেতে বেশি পছন্দ করি। আবার রমজানের সময় ছোলা এক জনপ্রিয় খাবার। আমরা ছোলা রান্না করে থাকি অতিরিক্ত তেল মশলা দিয়ে। ফলের ছোলায় থাকা উপাদান গুলো নষ্ট হয়ে যায। সেজন্য বলা যায় রান্নার বদলে সেদ্ধ বা কাঁচা ছোলা খাওয়াই উত্তম। ছোলা খাওয়ার উপকারিতা। যেমনঃ
- সিদ্ধ ছোলা খুদা নিয়ন্ত্রণ করে
- ওজন কমাতে সাহায্য করে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
- নিয়মিত খেলে ব্লাড প্রেসারও নিয়ন্ত্রণে থাকে
- ছোলাতে বিদ্যমান প্রোটিন এবং ফাইবার ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণ করে
বাদাম ও কিসমিসের উপকারিতা
এ পর্যায়ে আমরা বাদাম ও কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে জানব। বাদাম রান্নায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এমন কি নাস্তায় ও সেটা খাওয়া হয়। বাদামে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। আমাদের দেশে বাদাম অনেক রকমের রয়েছে। যেমন-চিনা বাদাম, কাজুবাদাম, পোস্ত বাদাম ও আখরোট ইত্যাদি। বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
নিয়মিত বাদাম খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি মিলবে। তাই আমাদের সকলের উচিত নিয়মিত বাদাম খাওয়া। বাদাম খেয়ে বাদাম খেলে ক্লান্তি দূর হয়। বাদাম খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বিশেষ করে কষ্টকাঠিন্য থেকে। তাই আমাদের খাবার তালিকায় বাদাম রাখা অতি জরুরী।
কিসমিসের উপকারিতা নিয়ে কথা বলা যায়। কিসমিস একটি অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার। কিসমিস তৈরি করা হয় আঙ্গুর থেকে । আঙ্গুরকে শুকিয়ে নিয়ে এই কিসমিস তৈরি করা হয়। কিসমিসে রয়েছে ফাইবার, ক্যালসিয়া, পটাশিয়াম ও অন্যান্য অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টির সমৃদ্ধ উৎস। যা আপনার শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করবে। কিসমিস আপনার চুলের যত্নেও উপকার দেবে। আপনার চুল ও ত্বকে উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করবে কিসমিস।
বাদাম ও কিসমিস যেভাবে খেলে আপনার উপকারে আসবে। বাদাম ও কিসমিস কে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবং পরের দিন সকালে বাদাম ও কিসমিস ছেকে নিয়ে খেয়ে নিন। আর বাদাম ও কিসমিস ভেজানো পানিটা ফেলে না দিয়ে সেটা খেয়ে নিতে পারেন।। এর ফলে আপনার হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ করবে।
ছোলা বাদাম ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
শরীরের জন্য যেমন খাবারের প্রয়োজন তেমনি শরীরের জন্য শক্তিরও প্রয়োজন। কেননা যে কোন কাজ করতে হলে প্রথমে শক্তির প্রয়োজন পড়ে। শক্তি ছাড়া চলাফেরা করা বা কোন কাজ করা অসম্ভব। সেজন্য শরীরে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করতে হলে পুষ্টিকর এবং ভিটামিন জাতীয় খাবার এর প্রয়োজন।
হ্যাঁ, এজন্য আপনি খেতে পারেন ছোলা বাদাম এবং কিসমিস। এ সকল খাবার খুব পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। এই খাবারগুলো শরীরের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। জেনে নেয়া যাক এগুলোর উপকারিতার বিষয়।
ছোলা
ছোলা অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য। ছোলার যে সকল উপকারিতা গুলো রয়েছে এ বিষয়ে জানা যাক
- সোলা ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। ফলে ছোলা নিয়মিত খাওয়া উচিত।
- নিয়মিত ছোলা খেলে হজমে সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
- হার শক্ত মজবুত করতে সাহায্য করে।
- মস্তিষ্কের বিকাশের সাহায্য করে।
বাদাম
বাদাম একটি জনপ্রিয় খাদ্য। এটি ছোট বড় কমবেশি সকলেই খেয়ে থাকে। এটা আবার কাচার থেকে ভাজা খেতে অনেকে আমরা ভালোবাসি। বাদাম একটি শক্তিশালী এবং ভিটামিন জাতীয় খাবার। এটি শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং শরীরের ভিটামিন এর ঘাটতি পূরণ করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাদামের কয়টি উপকারিতা সম্পর্কে।
- বাদাম শরীরের ভিটামিনের অভাব দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- বাদাম ক্যান্সারের মতো কেউ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- স্মৃতিশক্তি প্রখর করতেও সাহায্য করে বাদাম।
- বাদাম ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কিসমিস
কিসমিস পুষ্টিকর এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার। বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। রান্না করে বা শুকনো অথবা ভিজিয়ে খাওয়া যায়। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং ভিটামিন যার শরীরের উপকার করতে সাহায্য করবে এবং রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই খাবার তালিকায় কিসমিস রাখা অতি জরুরী। কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে জানা যাক।
- কিসমিস নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
- কিসমিস খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাদের জন্য কিসমিস খুব ভালো একটি উপাদান।
- কিসমিস খাওয়ার পরে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ছোলা বাদাম ও কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
ছোলা বাদাম ও কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এ পর্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রথমে আমরা কাঁচা ছোলা খাওয়া সম্পর্কে জানব। আমার সারারাত ছোলাকে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই ছোলা চিবিয়ে খান। তবে এর পার্শপ্রতিক্রিয়ার দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে অতিরিক্ত ছোলা খেলে ডায়রিয়া সহ অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। তবে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ভেজানো ছোলা খেলে উপকার মিলবে।
এবারে আমরা বাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানব। ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন রোজ সকালে খালি পেটে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার। কেননা বাদামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, এ, বি১, বি৬, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম রয়েছে। বাদাম শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান।
বাদাম হার্টের জন্য বিশেষ উপকারী উপাদান। বাদাম ভালো লাগে বলে যে অতিরিক্ত খেতে হবে তা কিন্তু নয়। সেজন্য প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার নির্দিষ্ট পরিমাপ রাখতে হবে। কোন বাদামে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি আবার কোন বাদামে ফ্যাটের পরিমাণ কম সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। এবং তা দেখে নির্ধারণ করতে হবে কতটুকু বাদাম খাওয়া উচিত।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কিসমিস খাওয়া সম্পর্কে। কিশমিশ একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার। যা আঙ্গুর থেকে তৈরি হয়। প্রতিদিন রাতে দুই কাপ পানিতে কয়েকটি কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন এবং দেখুন এর রং গাড় হবে আর এটা যত কারো হবে তার উপকার তত বেশি হবে। পরের দিন সকালে কিসমিস ভেজানো পানি পান করে নেন। তাহলে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। এবং এটি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
কাজুবাদাম ও কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম
বিশ্বের স্বাস্থ্যকর খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কাজুবাদাম। এটিতে ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। যেমনি কাঁচা ছোলা ও কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক তেমনি কাজুবাদাম ও কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা অনেক। কাজুবাদাম ও কাটবা দাম বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়।
কাজুবাদাম খাওয়ার নিয়ম
কাজুবাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। প্রতিদিন কাজু বাদাম খেলে শরীরের বিভিন্ন উপকার হয়।
- কাজুবাদাম ভাজি করে খাওয়া যায়।
- এমনকি কাজুবাদাম সরাসরি খাওয়া যায় পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে।
- সালাদের সাথে মিশিয়ে কাজুবাদাম খাওয়া যায়।
- বিভিন্ন প্রকার খাবারের সাথে মিশিয়ে কাজুবাদাম খাওয়া যায়।
- আবার দই এর সাথে মিশিয়ে কাজুবাদাম খাওয়া যায়।
কাঠবাদাম সুস্বাদু খাবারের মধ্যে একটি। কাঠ বাদাম প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। কাঠবাদাম খেলে মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম
- কাঠবাদাম ভিজিয়ে খাওয়া যায়। তো কেননা ভিজিয়ে রাখা বাদামের গুণগত মান বেশি হয়।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে কাঠবাদাম।
- কাঠবাদাম মাখিয়ে খাওয়া যায়।
- নিয়মিতভাবে সাবধানে খাওয়া উচিত কাঁচা বাদাম।
- কাঠবাদাম রাতে ভিজিয়ে রেখে দিয়ে সকালে খাওয়া। তাহলে কাট বাদামের ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়
- একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন ৭ থেকে ১০ টা কাঠবাদাম খেতে পারে।
কাঠবাদাম ও কাজুবাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এগুলো ত্বকের জন্য খুবই কার্যকর। এটির ব্যবহার মানুষ দিন দিন বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
শেষ কথা
কাঁচা ছোলা ও কাঁচা বাদামের উপকারিতা অনেক এবং এর পুষ্টিগুন ও অনেক বেশি। তবে অতিরিক্ত কোন কিছু কখনই শরীরের জন্য ভালো নয়। সবকিছুর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াআছে। প্রিয় পাঠক আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা কাঁচা ছোলা ও কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হন। তাহলে এ পোষ্টটি আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url